ভোলায় ঈদের বন্ধকে পুজি করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীরা। চলছে দখল, চাদা বাজি, মাদক ব্যবসা নিয়ে আধিপত্য বিস্তার, নারী নির্যাতন, বাড়ি ঘরে হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড। অপরাধীদের ধারনা ঈদে আদালত বন্ধ, আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী ছুটিতে ও স্বল্পতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করবে।
সরজমিনে জানা গেছে, শনিবার দিনগত রাতে কালিবাড়ি রোর্ডে হজি বাড়িতে মামুনের পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে ঢাকা থেকে আশা রাজিব নামের এক সন্ত্রাসী। শিবপুর ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডে মাঝ কান্দি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য জামাল ঘোষের পরিবারের উপর হামলা করে ঘর ভাংচুর, নারী নির্যাতন, শিশু কিশোরদের পিটিয়ে আহত, মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একই এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে হাওলাদার বাড়ির মৃত আবদুল বাকের হাওলাদারের ছেলে আবদুল সালাম,আবু মুছা ও আবুল খায়েরের নেতৃত্বে-আবু সায়েদ,তহমিনা, খালেদ, ৫ নং ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে-সিহাব, রিমন, মাঝ কান্দির অটোচালক ও মাদক ব্যবসায়ী-আল আমিন, আবদুর রহমানসহ অর্ধশত সন্ত্রাসী বাহিনী রাতের আধারে, তাদের জমির সাথে-মৃত আবদুল ওহাব হাওলাদারের ৫ মেয়ের ১৮ শতাংশ জমির ২টি নারিকেল,১টি রেইনট্রি,৮টিমেহগুনি গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং ওই জমিতে দোকান ঘর নির্মানের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় মিজানুর রহমান,৭ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশে ঘটনাস্থল তদন্ত করে কাজ বন্দ করে দেয়। ৮ এপ্রিল আরেকটি তাদের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়, ১১ এপ্রিল মাজেদ হাওলাদার ১৪৪ ও ৪৫ ধারায় ফৌজদারী মামলা করে। ওই মামলায় নির্মান কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে,যার নং-১৯৩/২২। ২৫ এপ্রিল রাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি ৮টি মেহগুনি গাছ কেটে একচালা ঘর নির্মান করে। এঘটনা পুলিশকে জানালে, পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ আরমান হোসেনের নির্দেশে এস আই আব্দুল্লাহ আল নোমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আগের-ছবি,ভিডিও এবং ২৫ এপ্রিলের ছবি, ভিডিও মিলিয়ে ও এলাকার লোকজনের স্বাক্ষ প্রমানে ঘর নির্মান ও গাছ কাটার সত্যতা পায়। পরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাছ কাটা ও ঘর নির্মানের বিষয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তার পরেও নির্মান কাজ বন্দ করেনি ওই ভুমি দস্যু বাহিনী। এখনও রাতের আধারে নির্মান কাজ অব্যহত রেখেছে। যে কোন সময় বড় ধরনের র্দূঘটনা ঘটার আশংকা করছেন এলাকা বাসি। এসব ঘটনায় একাধীক মামলা ও সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে।
এবিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ আরমান হোসেন জানান, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আদালত বন্দ থাকলে থানা বন্দ নাই, আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী বসে নাই, সন্ত্রাসী ও আইনশৃংঙ্খলা পরিপন্থি কাজ যে করবে তাদের ছাড় নাই।