ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

ভোলায় চাদার জন্য কৃষকের জমির চাষাবাদ বন্ধ

ভোলা প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ০৭:১০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ভোলায়-চেয়ারম্যান, মেন্বার ও গ্রামের মাতব্বরকে চাদা না দেয়ায় কৃষকের জমিতে চাষাবাদ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

ভোলার-চরফ্যাশন উপজেলার,ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের, উত্তর ফ্যাশন ৪নং ওয়ার্ডে এঘটনা ঘটে।

কৃষক মোহানা¥দ উল্লাহ ভুলু, আতিক, আচিয়া ও রাসেদের অভিযোগে জানা গেছে- ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নে কাশেম মোল্লা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মোশারেফ হাওলাদার মেন্বার, মাতব্বর আলী আহন্মদ পাটাওয়ারী গংদের দিয়ে ইউনিয়নের কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি মৌসুমে একর প্রতি ৩ হাজার টাকা করে চাদা আদায় করে চলেছেন। যে কৃষক চাদা দিতে অস্বিকার করবে তাকে জমিতে আর চাষাবাদ করতে দেয়া হয়না। মেন্বার এবং মাতব্বর(সন্ত্রসী)কে দিয়ে চাষাবাদ বন্ধ করে দেয়।

উত্তর ফ্যাশন মৌজার, জে এল নং-৬৫, এস এ খতিয়ান নং-৯, ৯/১ । দাগ নং- ৪৭২,৭৩,৭৪,৭৮,৭৯,৮২। বিএস জে এল নং-৩, সিট নং-২, খতিয়ান নং-১৮৫৯,৬০,৬১,৬৪,৬৫ তে মাওলানা হাফেজল হক-বাড়ি, পুকুর ও নাল মিলিয়ে ৪ একর ৬ শতাংশ জমি ১৯৯৪ সালে ক্রয় করে ভোগ করে আসছেন। মাওলানা হাফেজল হক ও তার ছেলেরা ঢাকায় চাকরী করার কারনে, বাড়ি ও জমি দেখা শুনার দায়ীত্ব দেন মেয়ে-আচিয়া, নাতি- আতিক ও রাসেদকে। আর জমি বাৎসরিক নগদ লগ্নী করেন কৃষক মোহান্মদ হোসেন ভুলুর কাছে। চেয়ারম্যান কাশেম মোল্লা গংদেরকে আমন ফসলে চাদা দিলেও রবি শস্য মৌসুমে আবারও চাদা দাবী করে। তাদেরকে চাদা না দেয়ায় তারা এবার জমি চাষাবাদ করতে দেননি। তারা পুকুরের লক্ষাধীক টাকার মাছ জোর করে ধরে নিয়ে গেছেন। মাওলানা হাফেজল হকের ছেলে, মেয়ে এবং নাতিদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। এ বিষয় ভোলা-৪ অঅসনের এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জৗাকবের নিকট আবেদন করলে তিনি বিষয়টির ব্যবস্থা নিতে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আকনকে নির্দেশ দিলে তিনি কাশেম মোল্লা গংদেরকে খবর দিলে তারা চেয়ারম্যানের ডাকে সারা দেননি। তারা তাদের কৃষকদের কাছ থেকে চাদা, জমি দখর, পটুকুরের মাছ জোরপুর্বক ধরে নিয়ে বিক্রি করে চলেছেন। এব্যাপারে কাশেম মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধির সাথে কথা বলতে রাজি হননি, মোশারেফ মেন্বার ও আলী আহন্মদ জানান, চেয়ারম্যান-মেন্বার হতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে সেই টাকা আসল- মুনাফাসহ উঠাতে সবার কাছ থেকে নেয়া হয়ে থাকে। মামলার বিষয়ে থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরাদ হোসেন জানান, মামলাটি আগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেনে নিয়েছে, এখন সার্কেল এসপি তদন্ত করছেন। সার্কেল এসপি জানান, মামলাটি মিথ্যা, মাছ লুট ও বিক্রির টাকা একজনের কাছে জমা রয়েছে। কাশেম মোল্লা গংদের বিরুদ্ধে ভুক্তভুগীরা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিব। ভুক্ত ভুগীরা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের সহযোগীতা কামনা করেছেন।