ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভোলায় ২৫ হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার - ব্রীজ নির্মাণের দাবী

ভোলা প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৪ নভেম্বর ২০২১ ০৩:৩৩:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পকিয়া  গ্রামের খালের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে সর্বদীর্ঘ সাঁকো। ভোলার জন্ম থেকেই এই সাকো দিয়ে পূর্ব কাজী চর, পূর্ব চরানন্দ, চর পকিয়া, শ্যামপুরের ২৫ হাজার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম এই সাঁকো।

বছরের পর বছর ধরে নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে আশ্বাসে কেটে যাচ্ছে দিন, নির্বাচন শেষ হলে আর জনপ্রতিনিধিদের পাওয়া যায়না এবং ব্রীজও হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। হযরত আলী নামের এক বৃদ্ধ বলেন, প্রাক্তন এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুদানে গ্রামবাসী এই সাঁকো তৈরি করেন, এ পর্যন্ত  সাকো থেকে পরে ৫/৭ টি শিশু মৃত্যুবরন এবং অনেক বয়স্ক মানুষ আঘাত পেয়েছেন এই সাঁকো থেকে পরে।ভোলা জেলা-উপজেলা প্রশাসন, চেয়ারম্যানদেরকে একাধীকবার এই বিষয়টি জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এই সাকোর ব্যাপারে অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। স্থানীয় মেম্বার ইব্রাহীম মিয়া বলেন, ৪ গ্রামের মানুষের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম এই সাঁকো, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছেলে-মেয়েরা সাকো পার হয়ে যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। মহিলারাতো সাকো দেখলে ভয়ে থর থর করে কাপে,শীতের মধ্যেও মহিলারা পানি পানির মধ্য দিয়ে খাল পারা পার হচেছন। সাকো থেকে পরে কয়েকজন মারাও গেছেন। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ভয়ে স্কুলে যেতে পারেননা। এখানে একটি ব্রীজ হলে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের উপকার হতো। জনগনের পক্ষে তিনি এই স্থানে একটি ব্রীজ নির্মানের দাবী জানান। 

পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চেযারম্যান গিয়াসউদ্দিন মিয়া বলেন, একাধিকবার উপজেলা-জেলা পরিষদ ও এলজিইডিতে তালিকা দিয়েছি, শুধু আশ্বাসেই সিমাবদ্ধ, কাজ হচ্ছে না। তবে ব্রীজ একদিন হবে, যে দিন এখানে এমন কোন মানুষ এসে আটকে পরবে সেই দিন।