মহেশখালীতে খৎনা করানোর সময় বালকের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনায় পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫.
১১ এপ্রিল (সোমবার) ছোট মহেশখালীর সিপাহীর পাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন যথাক্রমে মোহাম্মদ ইসলামের পূত্র জয়নাল আবেদীন (৩৫), মিজানুর রহমান (২৮)।
সূত্র জানায়, গত বছরের ২৮ নভেম্বর মোহাম্মদ মনজুর আলম তার ০৮ বছরের শিশু সন্তানকে খৎনা করানোর জন্য ছোট মহেশখালীর সিপাহীর পাড়াস্থ মেসার্স জাহেদ মেডিকোতে নেয়। সেখানে খৎনা করার সময় পল্লী চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন শিশুটির পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান এবং পরে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এঘটনায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সংবাদ প্রকাশ হলে হাতুড়ে ডাক্তার ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এঘটনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি শিশুটির পিতা মঞ্জুর আলম বাদি হয়ে ০২ জনের নাম উল্লেখ করে মহেশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে র্যাব-১৫ এর একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ছোট মহেশখালীর সিপাহীর পাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করে।
র্যাব-১৫ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, মহেশখালীতে শিশুর পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় ২ পল্লী চিকিৎসককে গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মহেশখালী থানা সূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মহেশখালী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।