তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ও ২০টি ইউপিতে উৎকণ্ঠা উদ্বিগ্নতা আর ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও নানা অভিযোগ আর অসঙ্গতির মধ্য দিয়ে আজ সম্পন্ন হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই কেন্দ্রে ভোটরদের উপস্থিতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। নারী পুরুষ উভয় ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ২০ ইউপিতে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩২২ জন।
নির্বাচনের পরিস্থিতি সুষ্ঠ ও শৃঙ্খল রাখতে মাঠে ৯ প্লাটুন বিজিবি, ১৮জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিযুক্ত করা হয়।
ভোটের আগে গতকাল শনিবার জেলার রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার মধ্য ভাদুর এলাকা থেকে ৩১ জনকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ আটক করা হয়। এসময় একটি এলজি, ৪টি চাপাতি, ৯টি ককটেলসহ দেশীয় আরও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একই উপজেলার ভোলা কোট ইউনিয়নের লক্ষীধরপাড়া ভোট কেন্দ্র থেকে আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৭ জন যুবক ও তাদের গাড়িচালককে আটক করে টহলরত বিজিবির সদস্যরা। এ নিয়ে রামগঞ্জে অস্ত্রসহ আট হলেন মোট ৩৯ জন।
এছাড়াও,রায়পুরের বিভিন্ন ইউনিয়নের কেন্দ্রে ব্যালট পেপার টেনে নিয়ে জাল ভোট,ভোটারদের হুমকি ধমকি, প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া,এজেন্টদের বের করে দেয়া, সাংবাদিকের উপর হামলা সহ ডজনখানেক অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য,লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, ১৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮০ জন ও মহিলা কাউন্সিলর পদে ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অপরদিকে রায়পুরে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও সদস্য এবং মহিলা সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
রামগঞ্জ ও রায়পুরের ২০টি ইউপিতে ১৯২টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ করা হয়। এসব ইউনিয়নগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ১৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এসব ইউনিয়নের প্রতিটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ছিলেন শক্ত অবস্থানে।