চাঁদপুরসহ সারা দেশে ওএমএসের (খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি) সকল ডিলারশিপ বাতিল করে নতুন নীতিমালায় শিগগিরই নতুন ডিলার নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার।
চাঁদপুরে ওএমএসের নতুন ডিলার নিয়োগের ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্তের মোতাবেক জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম বিক্রির কার্যক্রম চলে। রোববার (১০ নবেম্বর) জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ২০টি কেন্দ্রের জন্য মোট ৯৭টি ফরম বিক্রি করা হয়েছে। নতুন পুরাতন মিলে শেষ দিনে মোট ৮৫টি ফরম জমা পরে। ঐ দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ছিল ফরম জমা নেওয়ার শেষ সময়। বিকাল ৪টায় কমিটির সকলের উপস্থিতিতে বাক্স খোলা হয়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর পৌরসভায় বর্তমানে ২০ জন ওএমএসের ডিলার কেন্দ্র রয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার এ সকল ডিলারদের প্রতিদিন ৮৩৪ কেজি চাল ও ৮৩৪ কেজি আটা দেওয়া হয়। ডিলারদের কাছে থেকে একজন ক্রেতা প্রতি কেজি ২৪ টাকা দামে ৫ কেজি আটা এবং ৩০ টাকা দামে সবোর্চ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, খাদ্যশস্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গরিব ও অসচ্ছল মানুষের কাছে কম দামে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করে সরকার। কিন্তু ১৫–২০ বছর ধরে ডিলার হিসেবে রয়েছেন একই ব্যক্তিরা। এছাড়া ওএমএস কেন্দ্রের চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি ডিলারশিপ পেয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার আগের সব ওএমএস ডিলারের কার্যক্রম বাতিল করে নতুন করে দেওয়া হচ্ছে।
সাধারণ জনগণ মনে করছেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা স্বচ্ছভাবে তাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবে কোন প্রকারের বৈষম্য ও অনিয়ম যেন তারা না করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শ্যাম প্রসাদ চাকমা, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, এনডিসি মো. আসাদুজ্জামান সরকার, চাঁদপুর পৌরসভার সচিব মো. আবুল কালাম ভূইয়া, খাদ্য অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজ আহমেদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য গণ।
সকল ফরমগুলি যাচাই-বাছাই শেষে কমিটির সভাপতি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক সহ কমিটির সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তীতে কারা এই ২০ কেন্দ্রের অনুকূলে নতুন নিয়োগ পাবে তা পরবর্তিতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শ্যাম প্রসাদ চাকমা।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে