ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডা. মুরাদকে সংসদ ও মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ এবং প্রকাশ্যে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলা হয়। সভায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় অবৈধ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জিয়া পরিবারের সদস্য বিশেষ করে নারী সদস্যদের নিয়ে যে চরম অশালীন, অরুচিকর রাজনৈতিক ও সামাজিক শিষ্ঠাচার বিবর্জিত, মানহানিকর ও কুৎসিত বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র সমালোচনা, নিন্দা ও প্রতিবাদ করা হয়। সভা মনে করে, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের নারী বিদ্বেষী, বর্ণবাদী, সমাজ বিরোধী ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্যের মাধ্যমে সমগ্র নারী সমাজ ও মানবতাকে হেয় করা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘মুরাদের বিরুদ্ধে আইনগত কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে আমাদের আইনজীবীরা কাজ করছেন। তবে, তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে নাকি অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা মহাসচিব জানাবেন।’