ঢাকা, রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮শে পৌষ ১৪৩১
অযৌক্তিক দাবিতে অহেতুক ঝামেলা পাকাচ্ছেন

মেলান্দহের শিহাটা গোমেজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শরীফ আলম খান

কামরুল হাসান, জামালপুর : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৪:৫১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শিহাটা গোমেজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শরীফ আলম খান নিজ কর্মস্থলে থেকেই অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বলে অযৌক্তিক দাবিতে অহেতুক ঝামেলা পাকাচ্ছেন। 

জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ধরণী কান্ত বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোকাদ্দেছ আলী জানান, শরীফ আলম খান জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার শিহাটা গোমেজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক (নিয়মিত) হিসেবে কর্মরত আছেন। শুধু এই নয়, তিনি অদ্যাবধি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বিরতিহীনভাবে সরকারী বেতন-ভাতা ভোগ করছেন। কিছুদিন আগে দিগপাইত ধরণী কান্ত বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত হন। সে অনুযায়ী তিনি হঠাৎ একদিন পূর্বের পদ না ছেড়ে দিয়েই ছাড়পত্র বিহীন যোগদান করেন। এরপর তাকে আর এ প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় নি। তবুও তিনি অযৌক্তিক শিক্ষক দাবি করে অহেতুক ঝামেলার সৃষ্টি করছেন। এ বিষয়ে তিনি (মোকাদ্দেছ আলী) শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ বিষয়ে ৬ নভেম্বর/২০২৩ দুপুর ১২:১১ (পিএম) শরীফ আলম খানের ০১৭১৮৩৬৪৪৪১ নম্বরে কথা হয়। তিনি জানান, ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি তিনি মেলান্দহের শিহাটা গোমেজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক। এছাড়া অন্য কোথাও কি চলে গিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঝখানে এক দিনের জন্য দিগপাইত ধরণী কান্ত বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছিলেন। বর্তমানে কোথায় কাজ করছেন ও কোথা থেকে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন? এর জবাবে তিনি বলেন, এখন একটি জরুরি মিটিং আছে। তাই সময় নেই। এ বিষয়ে ৭ নভেম্বর/২০২৩ বিকেল ০৩:৫৭ (পিএম) মেলান্দহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান- এর ব্যক্তিগত ফোন ০১৭১৭-১৮৯৬৫৮ নম্বরে কথা হয়। তিনি জানান, যেহেতু শরীফ আলম খান মেলান্দহ উপজেলার শিহাটা গোমেজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক (নিয়মিত) হিসেবে কর্মরত আছেন। আর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করে ছাড়পত্র নেয় নি সেহেতু তাকে শিহাটা গোমেজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবেই ধরে নেয়া হবে। এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা মুস্তারী ইভার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয় নি।