জমি দখলের পাঁয়তারা, এলাকায় বেপরোয়া চাঁদাবাজি, পুলিশের সাথে বন্ধুত্ব,
গাজীপুরের মৌচাকের বরাবো গ্রামের , রেশম আলী তালুকদারের ছেলে ও ভাতিজারা এলাকায় ত্রাস হয়ে উঠেছে। মাদক সেবন ও মাদক বিক্রিতে এগিয়ে আছেন নাজমুল, শামীম ও আনিস তালুকদার। এলাকায় বেপরোয়া চাঁদাবাজি নেশার টাকা না পেয়ে এলাকার উঠতি বয়সের মানুষকে মারধর। লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি ইত্যাদি অভিযোগ উঠেছে এদের নামে। কালিয়াকৈরের পুলিশের সাথে বন্ধুত্ব থাকার কারণে তাদেরকে সুযোগ সুবিধা প্রদান করছেন পুলিশ, বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তাদের নামে এলাকার কেউ অভিযোগ দায়ের করলে, অভিযোগ তদন্তের আগেই সব ম্যানেজ করতে পারেন এই মাদকের সিন্ডিকেট চক্র। এসব দেখার মতো কেউ নেই। তথ্যসূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগের নেশার টাকা না পেয়ে আনোয়ার হোসেন নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করেন আনিস তালুকদার, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধ ব্যক্তির, জমি জবরদখলের পায়তারা করছেন এই চক্র। এবং এক লক্ষ টাকা চাঁদা ও দাবি করেন। এ বিষয় নিয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করলে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আগেই তিনি সব ম্যানেজ করেন। এবং অভিযোগ দেয়ার কারণে ভুক্তভোগী কে রাস্তায় অকথ্য ভাষায় গালাগালি মারধর ও বেঁধে রাখার হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে পুলিশকে জানালেও সেটার কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি পুলিশ। এক সময় এই সিন্ডিকেটের দিনপাত না চললেও এখন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। মাদক বিক্রি করে সম্রাজ্য তৈরি করেছে এই সিন্ডিকেট। তথ্যসূত্রে আরো জানা যায়, কক্সবাজার উথিয়া, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বোরকা পরিহিত এক নারী কয়েকদিন পরপর ইয়াবার চালান এই সিন্ডিকেটের হাতে প্রদান করেন। ঘরে বসে ইয়াবা সেবন এবং এলাকায় উঠতি বয়সের ইয়াবা বিক্রি করছেন এই সিন্ডিকেট চক্র। তাদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল চোরাই তার সত্যতা পাওয়া যায়। এলাকাবাসী বলেন, এক সময় কোনো কিছু না থাকলেও চক্র এখন বিশাল ক্ষমতার মালিক। এলাকায় কোনো কথা বলা যায় না তাদের কারণে। মুরুব্বিদেরকে সম্মান তো দূরের কথা, এলাকায় বসে বসে মাদক বিক্রি ও সেবন করেন। বাধা প্রদান করলে উল্টো পুলিশের ভয় দেখান এই চক্র। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে আরো বেপরোয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশ কেনো ব্যবস্থা নেয়নি সেটা খতিয়ে দেখা হবে এবং মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।