সোমবার উপজেলা আওয়ামী লীগের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদারের যৌথ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
তাদের দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্যও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। যাদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তারা হলেন ইসলামপুর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সিরাজুদ্দৌলাহ তালুকদার দোলাল, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এনামুল হক মিয়া, লালানগর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রফিকুল ইসলাম তালুকদার এবং বেতাগী ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শফিউল আলম।
দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার বলেন, “দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার সময় এসব প্রার্থীরা অঙ্গীকার করেছিল, কোনো কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করবেন কিন্তু মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েই তারা মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও জমা দেন।
এরপরও গত ৭ নভেম্বর সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় তাদের ১১ নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তারা তা অমান্য করেন এবং কারণ দর্শানোর নোটিশেরও কোনো জবাব দেননি। সর্বোপরি নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অবস্থান নিয়ে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা লঙ্ঘন করেছেন এই চার আওয়ামী লীগ নেতা। তাই তাদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে এবং দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে।