রাজধানীর নীলক্ষেতের ব্যস্ত গাউসুল আজম সুপার মার্কেট দখলের অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দোকানগুলো দখল করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন সাবেক এক ছাত্রদল নেতা। এ নিয়ে নিউমার্কেট থানায় একাধিক অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের কর্ণধার মোতালেব মিয়া ২০০০ সালের শেষ দিকে মার্কেটটি নির্মাণ করেন। তারপর থেকে তিনি মার্কেটের সমস্ত কিছু দেখভাল করে আসছিলেন। এরমধ্যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় বসে। যার ফলে সে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমন্বয় করে মোতালেব মিয়া মার্কেট পরিচালনা করেছিলেন।
তবে চলতি বছরের গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের কথিত প্রাক্তন যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন গায়ের জোরে মার্কেটের কর্তৃত্ব দখলে নিয়ে মোতালেব মিয়াকে মারধর করে মার্কেট থেকে বিতারিত করে।
এ ঘটনার পর থেকে গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী জানান, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাবেক এই ছাত্রনেতার অত্যাচারে মার্কেটের সাধারণ ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করাসহ বিভিন্নভাবে ব্যবসায়ীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা নিউমার্কেট থানা এবং সমবায় অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
গাউসুল আজম মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি আর ক্ষমতার লড়াইয়ে তারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তারা মার্কেট পরিচালনার জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।