গাজীপুরের শ্রীপুরে লিচুর বাগান গুলোতে মুকুলে ভরে গেছে। লিচু চাষিরা আশা করছেন এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ক্ষতি না হলে লিচু বিক্রিতে তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে।
লিচুর মুকুলে থেকে বাতাসে ভেসে আসছে মহোময় সুগন্ধি। হলুদ আর সবুজে যেন এক মহামিলনে পরিণত হয়েছে লিচু বাগানগুলো। মৌমাছির গুন গুন শব্দে মনের আনন্দে ভিড়তে শুরু করেছে লিচু বাগানে। মুকুলের সুমিষ্টি সুবাস আন্দোলিত করে তুলেছে মানুষের মনও। সেই সাথে লিচু মুকুলে যেন প্রকৃতিকে সাজিয়েছে ভিন্ন রকম অপরূপ সৌন্দর্যে। আর সপ্তাহখানেক এর মধ্যে দেখা মিলবে পরিপক্ক লিচু।
বোম্বাই, মাদ্রাজি, বেদেনা, চায়না থ্রি, পাটনায়, চায়না টুসহ নানা জাতের লিচু চাষ করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খণ্ড ৬ নং ওয়ার্ডের লিচু চাষী তাহের মিয়া জানান, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি । ইতিমধ্যে তিনি লিচু গাছের পরিচর্যা কাজে ব্যস্থতায় সময় কাটাচ্ছে । তিনি আরো জানান মুকুল আসার আগে বাগানে কীটনাশক স্প্রে করার কারণে এবার মুকুল বেশি এসেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় ৩৮০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে।
উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের লিচু চাষী মানিক মৃধা বলেন, তার ৪টি বাগানে চায়না,পাটনাই,ও বোম্বাই ১২০টি লিচু গাছ রয়েছে। ইতিমধ্যে সবকয়টি লিচু গাছে মুকুল এসেছে। এখন তিনি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। যে ভাবে গাছের মধ্যে মুকুল এসেছে তিনি আশা করছেন কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হবে।
শ্রীপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মূয়ীদুল হাসান জানান,
এখানকার মাটি লিচু চাষের জন্য খুবই উপকারি। লিচু ফলন বৃদ্ধিতে চাষিদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ অঞ্চলের লিচুর খ্যাতি রয়েছে উপজেলা সহ দেশজুড়ে। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে।যা লিচুর বাম্পার ফলনের জন্য উপযোগী এ অবস্থায় থাকলে এবার লিচুর বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ ব্যক্ত করেছেন। তারপর ও সবকিছু একমাত্র প্রকৃতির আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর নির্ভর করছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
