সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক প্রসব সেবা চালু হওয়ার মাত্র ৩ দিনের মাথায় সফল ভাবে প্রথম স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন করেছেন হাসপাতালের ডাক্তার ও প্রশিক্ষিত ও দক্ষ মিডওয়াইফরা।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উপজেলার আস্তমা গ্রামের হেপি বেগম স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্মদেন।
স্বাভাবিক প্রসব কালে মিডওয়াইফ এর দায়িত্বে ছিলেন শিউলী বেগম, রনি আক্তার, রিমা বেগম ও ডাক্তার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ সানজিদা শিকদার।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মো. ইকবাল হাসান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তারিক জামিল অপু ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্যসহ প্রমূখ।
হেপি বেগমের স্বামী হোসাইন আহমদ বাবুল জানান, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, আমাদের উপজেলা হসেপাতালে এমন সেবা চালু হওয়ায়। এখানের ডাক্তার, নার্সরা খুবই আন্তরিক ছিলেন। সমস্থ সেবাটিই আমি বিনামূল্যে পেয়েছি। হাসপাতালে আমার ১টি টাকাও খরচ হয়নি। সব কিছুই আমাকে বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. ইকবাল হাসান জানান, গ্রামাঞ্চলে প্রসুতি নারীদের প্রতি অবিচার করা হয়। প্রতি গ্রামের মানুষরা বাড়িতেই প্রসুতি নারীদের ডেলিভারি করান। তাই প্রতিনিয়তই মাতৃ মৃত্যুর হার বাড়ছে, সেই সাথে শিশু মৃত্যুর হার ও বাড়ছে। মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে সারা দেশের সকল হাসপাতালে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা বিনামূল্যে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ মিডওয়াইফরা এ সেবা দিচ্ছেন এবং সার্বক্ষনিক ডাক্তাররা এটাকে মনিটরিং করছেন। আগের চেয়ে বেড়েছে এখন জবাবদিহিতা। এতে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমবে বলে আশাবাদী।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল থেকে হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসব সেবা এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা হয়।