সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে জমি সংক্রান্ত জের ধরে দু-পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে দরগাপাশা ইউনিয়নের আক্তাপাড়া মিনাবাজারে। ইতিমধ্যে কয়েকদফা সালিশ বৈঠক ও থানার অভিযোগ দায়েরের পর দরগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান সুফি মিয়ার হস্তক্ষেপে ১৫ ই মে ২০২২ ইং সালিশে বিরোধ নিস্পত্তির কথা থাকলেও সালিশে উপস্থিতন হননি চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে আক্তাপাড়া গ্রামের এক পক্ষের লোকজন চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং গ্রামে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখা রয়েছে বলে জানান একাধিক ব্যক্তিবর্গ। ১৫ মে রবিবার সরেজমিন আক্তাপাড়া বাজারে গিয়ে এবং ভোক্তভোগী আক্তাপাড়া (রসুলপুর) গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার ছেলে মো: এওয়ার মিয়া বিগত ১০ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে একই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল মালিক সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে শান্তিগঞ্জ থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,শান্তিগঞ্জ থানাধীন দুর্গাপাশা মৌজার জেএল নং-৬৫,খতিয়ান নং-২৬১,দাগ নং-১১৭৭, পরিমান ১৯ শতক বাজারের ভিট রকম ভূমি বর্তমানে নির্মাণাধীন মার্কেট অভিযোগকারী খরিদা সুত্রে মালিক থাকিয়া ভোগদখলে আছেন। প্রতিপক্ষ আব্দুল মালিক সহ অন্যান্য বিবাদীগন বিগত ১০ এপ্রিল হঠাৎ করে নির্মানাধীন মার্কেটে জোর পূর্বক ভাংচুর ও নিমার্ণের জন্য মজুদ করে রাখা প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা রড,সিমেন্ট ও কয়েল জোরপূর্বক গাড়ীতে উঠাইয়া নিয়া যায়। এ বিষয়ে বাঁধা নিষেধ করতে চাইলে প্রতিপক্ষ অভিযোগকারীকে প্রাণে মারার ভয় দেখায়। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী এওয়ার মিয়া জানান, আমি আমার সম্পত্তি রক্ষা ও প্রাণ রক্ষার জন্য থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে ইউপি চেয়ারম্যান সুফি মিয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ,সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, শান্তিগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আলাউদ্দিন সহ এলকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিগত ১৪ এপ্রিল ২০২২ ইং বাজারের অফিসে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আলোচনা শেষে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় অদ্য ১৫ মে ২০২২ ইং দরগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান সুফি মিয়া উভয় পক্ষের বিরোধটি নিষ্পত্তি করে দিবেন। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে সকাল ১০ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত আমাদের পক্ষের লোকজন উপস্থিত হলেও উপস্থিত হননি ইউপি চেয়ারম্যান সুফি মিয়া এবং অপর পক্ষের লোকজন। বার বার মোবাইল ফোনে সুফি মিয়াকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তিনি আরও বলেন চেয়ারম্যান এই কালক্ষেপন করায় আমার অপুরণীয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে যেকোন সময় আমার জায়গা বেদখল হওয়া সহ প্রতিপক্ষ কর্তৃক রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটার সম্ভাবনা বিদ্যমান রহিয়াছে।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন এওয়ার মিয়া। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ পক্ষের ছলেহ আহমদ জানান, আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এখানে আমাদের কোন জায়গা নাই আমরা সংঘর্ষে যাওয়ার কোন যুক্তি নাই।
. এ ব্যাপারে দরগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান সুফি মিয়ার মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শান্তিগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আলা উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনার পর বিষয়টি সালিশে নিস্পত্তির জন্য ইউপি চেয়ারম্যান সহ এলাকাবাসী আশ্বাস দিলে অভিযোগের কার্যক্রম আর অগ্রসর করা হয়নি।