শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়' এর সৌন্দর্যের বিরাট অংশজুড়ে আছে 'গাজীকালুর টিলা ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার' কিন্তু এই সৌন্দর্যের দিকে যাবার পথে ময়লার উৎকট গন্ধে নাক কুঁচকে উঠবে যেকোনো শিক্ষার্থী বা পথচারীর। ক্যাম্পাসে ময়লা বাহিরে নেওয়ার সুযোগ না থাকায় ক্যাম্পাসের টিলার পাশে ফেলা হয় ময়লাগুলো। এতে গাজী-কালু টিলার পাশে যেন ময়লার স্তুপে পরিণত হয়েছে। ফলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
গতকাল সোববার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ময়লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেছা
চৌধুরী ছাত্রী হলের সামনের টিলার নিচে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের ময়লা তার সামনে বা পাশেই ফেলা হয়। এতে প্রায়ই আশেপাশের এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ পরান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনের জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এতে নষ্ট হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রেজিস্ট্রার অফিসের অনুমতি সাপেক্ষে টিলার পাশের একটি গর্তে ময়লা ফেলা হয়। টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়াতে ময়লাগুলো পুড়িয়ে ফেলা সম্ভব হয়নি। ক্যাম্পাসের ময়লা বাহিরে নেওয়ার
সুযোগ না থাকায় বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে টিলার পাশে ফেলা হয়। আর হলের ময়লা হলের
পাশে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হচ্ছে। এদিকে শাবির পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন 'গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি'র সভাপতি মো. মাকুসুদুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, 'প্রচন্ড দুর্গন্ধ ও দৃষ্টিকটু দৃশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এর সাথে একেবারেই বেমানান। আরও বড় সমস্যা এই ময়লার স্তূপে জমে থাকতে দেখা গেছে জৈব ঝুঁকিপূর্ণ (Bio-Hazardous) বিভিন্ন বর্জ্য ( ল্যাবরেটরি থেকে নিঃসৃত)। বৃষ্টির পানিতে এসব ময়লা মিশে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছড়া (প্রাকৃতিক খাল) এর পানিতে। ফলে পুরো ছড়ার পানি এখন দূষিত ও দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে গেছে। প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো নর্দমায় গিয়ে পরার ফলে তৈরী হয়েছে জলাবদ্ধতা। সিলেটের সাম্প্রতিক বন্যার পর দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না এই নর্দমাগুলো দিয়ে।ফলে হল ও একাডেমিক ভবনের পাশের নর্দমাগুলো অনেকটা অংশ উপচে পড়ছে আবর্জনাযুক্ত পানিতে'।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ারুল ইসলাম জানান, 'ক্যাম্পাসের ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের একটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে যা ছয়-সাত মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। আশা করি, সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে।'