করোনার কারণে প্রায় দেড় বছরের অধিক সময় অন্ধকারে থেকে আবারও আলো জ্বলেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের নাট্যমঞ্চে। দীর্ঘ বিরতির পরে গত বুধবার সন্ধ্যারাতে ধুলি পড়া দর্শক সাড়িতেও যেন প্রাণের ছোঁয়া লেগেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন চোখ ফিল্ম সোসাইটি’র ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শাবির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিনন্দের কিচ্ছা’ এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ও টিএস এলিয়টের ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ওই দুটি কবিতা পালা করে আবৃত্তি করা হয়।
অন্ধকার মিলনায়তন! প্রায় শত বছর পরে কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা এবং টি এস এলিয়টের দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড কবিতার জন্য নীরব দর্শকের অপেক্ষা। একটু পরে মঞ্চে আলো জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে যেন শতবর্ষ পরে বিদ্রোহী ভঙ্গিতে নজরুলের সুরে বলে ওঠে “বল বীর-/ বল উন্নত মম শির!/ শির নেহারি আমারি,/ নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!” অন্যপাশে বিদ্রোহী কবিতার সঙ্গে পালা করে আবৃত্তি করা হয় বিংশ শব্দতীর এক অন্যন্য সাধারণ কবি টিএস এলিয়টের দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড কবিতা। মঞ্চে বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করেছেন সিলেটের সাংস্কৃতিক কর্মী সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভান, সিলেটের আবৃত্তি শিল্পী জ্যোতি এবং বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নি। অন্যদিকে এলিয়টের দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড আবৃত্তি করেন চ্যারিটি ট্রাস্টি’র লেখক এবং সাবেক চ্যারিটি চীফ এক্সিকিউটিভ মাইক শেরিফ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী তামিরা মিজান চৌধুরী।
এর আগে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় হাওর অঞ্চলের লোক-সংস্কৃতির অংশ পালাগান ‘বিনন্দের কিচ্ছা’। চোখ ফিল্ম সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা এবং সৌধ সোসাইটি অব পোয়েট্রি এন্ড ইন্ডিয়ান মিউজিক, যুক্তরাজ্য (ইউকে) এর সভাপতি টি এম আহমেদ কায়সারের পরিবেশনায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দর্শকরা উপভোগ করতে থাকে হাওরের লোক ঐতিহ্য বিনন্দের কিচ্ছার কাহিনী। কিচ্ছার মাঝেমাঝে তিনি রাধারমণ ও শাহ আব্দুল করিমের মতো কাহিনীর ব্যাখ্যা করেন। এই কাহিনীর সঙ্গে মঞ্চে অভিনয় করেন সিলেট অঞ্চলের ধামাইল গানের শিল্পী সোহেল আহমেদ ও তার দল।
চোখ ফিল্ম সোসাইটি’র ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের সিলেট অফিসের সহকারী হাইকমিশনার শ্রী নিরাজ কুমার জেইসাওয়াল, চোখ ফিল্মের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর রায়, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক শরীফা ইয়াসমিন, বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফারজানা সিদ্দিকা, অধ্যাপক ড. মো. জফির উদ্দিন, প্রক্টর ড. আলমগীর কবির, সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল, সংগঠনের সভাপতি ফাহিম আল হৃদয় এবং সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান সদস্যগণ।
অন্ধকার মিলনায়তন! প্রায় শত বছর পরে কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা এবং টি এস এলিয়টের দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড কবিতার জন্য নীরব দর্শকের অপেক্ষা। একটু পরে মঞ্চে আলো জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে যেন শতবর্ষ পরে বিদ্রোহী ভঙ্গিতে নজরুলের সুরে বলে ওঠে “বল বীর-/ বল উন্নত মম শির!/ শির নেহারি আমারি,/ নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!” অন্যপাশে বিদ্রোহী কবিতার সঙ্গে পালা করে আবৃত্তি করা হয় বিংশ শব্দতীর এক অন্যন্য সাধারণ কবি টিএস এলিয়টের দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড কবিতা। মঞ্চে বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করেছেন সিলেটের সাংস্কৃতিক কর্মী সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভান, সিলেটের আবৃত্তি শিল্পী জ্যোতি এবং বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নি। অন্যদিকে এলিয়টের দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড আবৃত্তি করেন চ্যারিটি ট্রাস্টি’র লেখক এবং সাবেক চ্যারিটি চীফ এক্সিকিউটিভ মাইক শেরিফ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী তামিরা মিজান চৌধুরী।
এর আগে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় হাওর অঞ্চলের লোক-সংস্কৃতির অংশ পালাগান ‘বিনন্দের কিচ্ছা’। চোখ ফিল্ম সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা এবং সৌধ সোসাইটি অব পোয়েট্রি এন্ড ইন্ডিয়ান মিউজিক, যুক্তরাজ্য (ইউকে) এর সভাপতি টি এম আহমেদ কায়সারের পরিবেশনায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দর্শকরা উপভোগ করতে থাকে হাওরের লোক ঐতিহ্য বিনন্দের কিচ্ছার কাহিনী। কিচ্ছার মাঝেমাঝে তিনি রাধারমণ ও শাহ আব্দুল করিমের মতো কাহিনীর ব্যাখ্যা করেন। এই কাহিনীর সঙ্গে মঞ্চে অভিনয় করেন সিলেট অঞ্চলের ধামাইল গানের শিল্পী সোহেল আহমেদ ও তার দল।
চোখ ফিল্ম সোসাইটি’র ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের সিলেট অফিসের সহকারী হাইকমিশনার শ্রী নিরাজ কুমার জেইসাওয়াল, চোখ ফিল্মের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর রায়, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক শরীফা ইয়াসমিন, বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফারজানা সিদ্দিকা, অধ্যাপক ড. মো. জফির উদ্দিন, প্রক্টর ড. আলমগীর কবির, সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল, সংগঠনের সভাপতি ফাহিম আল হৃদয় এবং সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান সদস্যগণ।
