বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা সর্বশ্রেষ্ঠ শীর্ষ সন্ত্রাসী, খুনি। যে শিশুর রক্ত পান করতে পারে তার মতো শীর্ষ সন্ত্রাসী আর কে হতে পারে। তাকে আশ্রয় দেওয়া মানে অপরাধকে আশ্রয় দেওয়া। অন্যায়কে আশ্রয় দেওয়া, খুনীকে আশ্রয় দেওয়া। গতকাল প্রতিবেশী দেশের একটা স্টেটমেন্ট দেখছেন তারা স্পষ্ট ভাষায় বলছে শেখ হাসিনা সেখানে আছে। তাদের বক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে তারা বিগ ব্রাদারের মতো আচরণ করেছে। সেখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের সাথে তো আমাদের প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি হলে কূটনৈতিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে প্রত্যর্পণ বিষয়টি সমাধান করতে পারে, তাকে ফিরিয়ে আনতে পারে। আর তা না হলে বাংলাদেশে যতো শীর্ষ সন্ত্রাসী আছে তারা সেখানে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ নিবে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রজত জয়ন্তী উপলক্ষ্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন রিজভী।
এখনও স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে মুক্ত হতে পারছি না উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গতকাল হঠাৎ করে ৫০-৬০টি জেলায় শাট ডাউন করা হয়েছে। এরা কারা আমরা কিন্তু প্রায় দিনই বলেছি স্বৈরাচারের দোসররা ভিতরে আছে এরা কিন্তু নাশকতা করবে। গতকাল যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে তারা ষড়য়ন্ত্র করছে।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সংস্কারের কথা বলে যে বিলম্ব করছেন তাতে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হবে। যদি আপনাদের আন্তরিকতা থাকে তাহলে দ্রুত সংস্কার করে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন।
আনুপাতিক ভোটের নির্বাচন সম্পর্কে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, হঠাৎ আপনারা আনুপাতিক ভোটের নির্বাচনকে সামনে এনে জটিলতা তৈরি করবেন না। আনুপাতিক হারে নির্বাচনের নামে জটিলতা তৈরি মানে, স্বাধীনতাবিরোধীদের মদদ দেওয়া, আপনারা সুপরিকল্পিতভাবে কোনো জটিলতা তৈরি করবেন না। পৃথিবীর অনেক দেশ এ পদ্ধতি চালু করে ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে প্রত্যেকটা দল সমর্থন করেছে। এটা গণতন্ত্রকামী মানুষের সমর্থিত সরকার, আপনাদেরকে জনগণের অন্তরের ভাষাটা আগে বুঝতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. শামীম, ডা. কাকনসহ আরও অনেকে।
একে
