ঢাকা, বুধবার ৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫শে পৌষ ১৪৩১

শেরপুরে সৎভাইদের ফাঁসাতে নিজের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যা

আরফান আলী, শেরপুর | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:১৮:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া গ্রামের জনৈক কমর আলীর ছেলে জামাদার আলী পেশায় একজন জুয়ারী বলে এলাকায় পরিচিত। জামাদার আলী হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে পূর্বশত্রুতার এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার সৎ ভাই মোঃ আঃ আজিজ ও আঃ হালিমকে ফাঁসাতে নিজ ঔরসজাত নাবালিকা কন্যা বাকপ্রতিবন্ধী সাদিয়া বেগম (১৪) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে একটি ফসলি জমিতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া গ্রামের জামাদার মিয়া গত রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তার বাড়ি থেকে নাবালিকা বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা সাদিয়া বেগমকে কামারেরচর বাজারে নিয়ে যায়। পরে সাদিয়া বেগমকে প্রথমে জনৈক হারুনের দোকানে সিঙ্গারা ও পুরি খাওয়ায় এবং পরবর্তীতে একই বাজারের ফারুকের দোকান থেকে পাউরুটি কিনে দেয়। পরে সাদিয়া বেগমকে জামাদার মিয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাবার সময় বাজারের লোকজন জামাদার মিয়ার হাতে একটি ধারালো দা দেখতে পান। যা বাজারের দোকানীদের সিসি ক্যামেয়ায় ধারণ এবং লক্ষ্য করা যায়। 

পরদিন গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একটি খেতে সাদিয়া বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সদর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ সাদিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় পর থেকেই সাদিয়া বেগমের পাষন্ড বাবা জামাদার মিয়া পলাতক রয়েছে। 

এদিকে জামাদার মিয়া ও নিহত সাদিয়া বেগমের গোষ্ঠীর লোকজন এবং গ্রামবাসী ধারণা করছেন সৎ ভাই আঃ আজিজ ও আঃ হালিমকে ফাঁসাতেই নিজ বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা সাদিয়া বেগমকে হত্যা করেছেন বলে এমন নাটকীয় ঘটনা ঘটিয়েছেন তার বাবা জামাদার মিয়া।

এদিক মামলার তদন্তকারী অফিসার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক বলেন, নিহত সাদিয়া বেগমের বাবা জামাদার মিয়াকে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন এবং তাকে আটক করতে পারলেই হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উন্মোচিত হবে বলে তিনি এমনটাই জানান।