ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬শে পৌষ ১৪৩১

পাবনার সাঁথিয়ায় সরকারী কাজে বাধা, প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ

পলাশ হোসেন, পাবনা | প্রকাশের সময় : বুধবার ৮ জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:১৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

পাবনার সাঁথিয়ায় সরকারী কাজে বাধা, নির্মাণাধীন সাইটে গিয়ে শ্রমিকদের মারধর, মেশিন ভাংচুর ও টাকা না দিলে কাজ করতে দিবে না বলে হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই সাইট ইঞ্জিনিয়ার হৃদয় হোসেন বাদী হয়ে ৫জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ১০/১২জনের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

থানায় দেয়া অভিযোগ ও নির্মাণাধীন সাইটে সরেজমিন গিয়ে জানাগেছে, এলজিইডি প্রকল্পের মাধ্যমে করমজা ইউনিয়নের হাড়িয়া ক্যানেল পাড়া সুতিখালি নদীর উপর প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজের কাজ পায় ওহি কনস্ট্রাকশন। ব্রিজটি বর্তমানে নির্মাণাধীন। কিছুদিন আগে করমজা গ্রামের মৃত রহম সরদারের ছেলে মহরম সরদার (৪৩) ও তুরান মোল্লার ছেলে আলম মোল্লা প্রকৌশলী হৃদয় হোসেনের নিকট টাকা দাবী করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার জানালে পরে তারা টাকা না দিলে ব্রিজ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দিয়ে যায়। এরই জেরে গত ৫ জানুয়ারী দুপুরে আবার তারা দলবদ্ধ হয়ে এসে টাকা দাবী করে। এতে প্রকৌশলী হৃদয় টাকা দিতে অস্বীকার জানালে তারা সাইট ইঞ্জিনিয়ার আবু সাইদসহ শ্রমিকদের বেদম মারপিট করে ও শ্যালো মেশিন, উইংস মেশিন,মটর ভাংচুর করে। এতে তাদের ৭০ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এদিকে ইকুপমেন্ট ও পাইলের জালি ভাংচুরের ফলে পাইল ঢালাই সম্ভব হচ্ছে না। ব্রিজটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এ ব্যাপারে ওহি কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধীকারি ঠিকাদার হারুন অর রশিদ জানান, কিছু সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমার সাইটের প্রকৌশলী ও শ্রমিকসহ ইকুপমেন্ট ভাংচুর করা হয়েছে। হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের নিকট দাবী, যে সরকারী কাজের আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটা যেন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পারি। সেই নিরাপত্তা চাই।

এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

অভিযুক্ত মহরম সরদারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি হামলা, ভাংচুর ও টাকা দাবীর বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি ওখানে গিয়েছিলাম টুকুর ছবি দিয়ে ফলক লাগানো ছিল সেটাকে ভাংতে বলেছিলাম। তারা তা ভাঙ্গেনি। এজন্য ঠিকাদারের নিকট গিয়েছিলাম যে টুকুর ফলক লাগিয়ে কাজ করবে এটা হবে 

না। তা ছাড়া কাজটি সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুর মাধ্যমে পাওয়া। এ জন্য এ কাজটির পুনটেন্ডারের দাবি জানিয়ে বলেছি কাজ বন্ধ রাখ। আগে পুনটেন্ডার হোক তারপর যে পাবে সে কাজ করবে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, কাজ বন্ধ আছে তবে কেন কি জন্য বন্ধ আছে তা জানি না। সাইটে হামলা ও ভাংচুরের বিষয়ে কোন মন্তব্য নেই বলেও জানান তিনি।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ