ঢাকা, শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ই পৌষ ১৪৩১

সই ছাড়াই ৪০০ ভোট! জয়ী মেম্বার সামুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর

মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, লক্ষ্মীপুর : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:৫৮:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

 

বিজয়ী মেম্বারের ৪০০ ব্যালটে নেই সহকারী প্রিসাইডিংয়ের সই! লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী সদস্যের (মেম্বার) ৪০০ ব্যালটে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের সই ছিল না। উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে। 
 
ব্যালটে প্রিসাইডিং অফিসারের সই ছাড়াই কাজী শামছুল ইসলাম সামু মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের দিন সামু ও তার লোকজন সই ছাড়া ব্যালটগুলো নিয়ে ফুটবল প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 
 
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ অনিয়মের বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহমুদুল হক রাসেল (মোরগ) জুডিশিয়ালি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় রাসেল প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আইনিভাবে এ ঘটনার ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত সামু ওই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার।
 
এদিকে জোরপূর্বক ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে ফুটবল প্রতিকে সিল মারার ঘটনায় প্রতিবাদ করলে সহকারি প্রিসাইডিং অফিসারদের ভয়ভীতি দেখান সামু ও তার লোকজন।
 
লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়। ৭ নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে সামু ও রাসেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই দিন দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদ কবির বাক্কি বিল্লাহ ও পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট কয়েক সহযোগীকে নিয়ে মানছুরা বালিকা বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান। 
 
মেম্বার প্রার্থী সামুর পক্ষ নিয়ে কিছু ব্যক্তি জোরপূবর্ক ৪০০ ব্যালট পেপার কেড়ে নেওয়া হয়। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসাররা প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাদের স্বাক্ষর ছাড়াই ব্যালটে ফুটবল প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়। পরে বিকেলে ভোট গণনা শেষে সামু ৬৩৩ ভোট ও রাসেল ৩৪২ ভোট পেয়েছেন বলে জানানো হয়।
 
এ বিষয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহমুদুল হক রাসেল বলেন, ৪০০ ব্যালট নিয়ে ফুটবলে সিল মারা হয়েছে। আমি জুডিশিয়াল তদন্তের দাবি করছি। ব্যালটগুলো আবার গণনা করলে তাতে যে সহকারী প্রিসাইডিংয়ের সই নেই, তা প্রমাণ হবে। আমাকে ষড়যন্ত্র করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছি।
 
অভিযুক্ত মেম্বার কাজী শামসুল ইসলাম 'সামু বলেন, এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ।
 
কেরোয়া মানছুরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার এ টি এম খোরশেদ আলম বলেন, ৪০০ ব্যালট তো অনেক। বিষয়টি আমি অবগত নয়। তবে ১০-২০ টা ব্যালটের পেছনে হয়তো সহকারী প্রিসাইডিংদের সই না থাকতে পারে। তবে সহকারী প্রিসাইডিংদের স্বাক্ষর ছাড়া ভোট বৈধ হবে না।
 
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বলেন, অভিযোগটি এখনও আমি পাইনি। হয়তো ওই ইউপির দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে।