ঢাকা, রবিবার ১৯ মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সজিব হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী এমপি নয়ন,অস্থিশীল পরিস্থিতির চেষ্টা বিএনপির

মু .ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ,লক্ষ্মীপুর | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৯ জুলাই ২০২৩ ১০:১৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 
 
জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর—২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেছেন, ‘বিএনপি রাজপথে এসে রাজনীতির নামে ধ্বংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তারা সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও হামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ২০১৩—১৪ সালের মতো অস্থিশীল পরিস্থিতির চেষ্টা করছে। শান্তির সুবাতাসকে অশান্ত করছে বিএনপি। ভিন্ন ঘটনার লাশ অথবা মৃত ব্যক্তির লাশ ছিনতাই করে নিজেদের দলীয় কর্মী দাবী করে রাজনীতিতে টেনে এনে অসুস্থ্য রাজনৈতিক ধারা চর্চায় প্রচারণা চালাচ্ছে তারা। এটি লক্ষ্মীপুরের জন্য অশনি সংকেত। এতে লক্ষ্মীপুরবাসী এখন শঙ্কিত।
 
বুধবার(১৯ জুলাই) বিকেলে জেলা শহরস্থ দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগ আহুত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আওয়ামীলীগের এ নেতা।
 
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়, হত্যাকান্ডে আওয়ামীলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই, এ হত্যার নিন্দা জানিয়ে তদন্ত করে সকল হত্যাকান্ডের বিচারের দাবী করেন তিনি। লক্ষ্মীপুরবাসী এখন আওয়ামীলীগের উপর অনেক আস্থাশীল। তাই তারা এখন উঠেপড়ে লেগেছে লক্ষ্মীপুরকে ফের অশান্ত করে লুটপাট, হত্যাযজ্ঞসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এমপি নয়ন।
 
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিঙ্কু সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না, এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
 
 
উল্লেখ্য,কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এ হত্যার ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।  
 
এদিকে বুধবার (১৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।  
 
তিনি বলেন, সজীব সংঘর্ষে মারা যাননি। বিএনপি নেতাকর্মীরা যে স্থানে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে, সজীবের মৃত্যুর স্থল ওই স্থান থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে। তার মৃত্যুর পর ৯৯৯ এ একটি কল আসে। পুলিশ বিএনপির নৈরাজ্য ঠেকাতে ব্যস্ত ছিল। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
 
এসপি বলেন, চিকিৎসকের দেওয়া তথ্য মতে, তার বাম হাতে দুটি কোপের দাগ ছিল। রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। ব্যক্তিগত কাজে সজীব শহরে এসে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মারা যান।