ঢাকা, সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিলেট নগর পিতা হওয়ার প্রত্যাশা জাপা নেতা রাসেলের

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২ মার্চ ২০২৩ ০৪:৫০:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

 

 

সিলেটের জাতীয় পার্টির রাজনীতির প্রিয়মুখ মো. রাসেল আহমদ। জেলা জাতীয় পার্টির নেতা। ২০০৮ সালে স্কুল জবানায় ছাত্রমৈত্রী দিয়ে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। পরবর্তীতে দল পাল্টে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্র সমাজে যোগদান করেন। এখন তিনি সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির নেতা।   

 

রাসেল আহমদ নানান ঘাত প্রতিঘাত আর জেল জুলুমের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে রাজনীতি করে আসছেন। এবার তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতায় আসতে চান দলীয় প্রতীক নিয়ে। দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়ন পেলে তিনি নির্বাচনের মাঠে নামবেন। 

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ২০০৮ সালে রাসেল আহমদ সিলেটের ঐতিহ্যবাহী পাইলট স্কুলে অধ্যায়ন করার সময় ছাত্রমৈত্রী সংগঠনে যোগদান করেন। পরবর্তীতে সিলেট জেলা ছাত্রমৈত্রীর সহসভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় রাসেলকে। ২০১২ সালে ছাত্রমৈত্রী থেকে ইস্তফা দিয়ে ছাত্রসমাজে যোগদান করেন। এসময় তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। মহানগর ছাত্রসমাজের সহসভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় রাসেলকে। ২০১৫ সালে জেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। এর আগে ২০১৪ সালে মহানগর জাতীয় পার্টির সহসভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় রাসেলকে। এখন তিনি জেলা জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত।

 

করোনা দুর্যোগের সময় সবাই ঘরবন্দি ছিলেন। জাপা নেতা রাসেলও ঢাকায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েন। কিন্তু খবরাখবর নিয়ে জানতে পারেন তার আশপাশের অনেকেই ঘরবন্দি ও কর্মহীন হয়ে বিপর্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন। ওইসব লোকজনের তালিকা করে সাধ্যমত খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন রাসেল। 

 

২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিয়েছে। অনেকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্য সহায়তাসহ স্বাস্থ্য সামগ্রী। এছাড়া তিনি নানান সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত। অসহায় মানুষের পাশে ছুটে গিয়ে তাদেরকে সহায়তা দেয়া তার নিত্যদিনের কাজ।

 

সিলেটের রাজনীতির আঁতুরঘর হিসেবে খ্যাত বন্দরবাজার। এই বন্দরবাজারকে কেন্দ্র করে সিলেটের রাজনীতির মাঠ গড়ে উঠেছে। এইখানেই প্রায় প্রতিদিন প্রতিটি রাজনৈতিক সংগঠনের নানান কর্মসূচি পালিত হয়। এই বন্দরবাজার এলাকায় জন্ম মো. রাসেলেরে। শৈশব থেকে দেখে আসছেন রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকান্ড। স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক কালচার মো. রাসেলের রক্তে ছড়িয়ে পড়েছে। 

 

জাপা নেতা মো. রাসেল একাধিকবার এইচএম এরশাদের সানিধ্যে গিয়েছেন। ২০১২ সালে প্রথম সিলেটের সার্কিট হাউসে এরশাদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মো. রাসেল। এর পর যতবার দেখা হয়েছে ততবারই মো. রাসেলকে নানান উপদেশ দিয়েছে এরশাদ। মাথায় হাত বুলিয়ে এদেশের মেহনতী মানুষের কল্যাণে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন এরশাদ। 

 

বয়সে টগবগে যুবক মো. রাসেল এবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে লড়াই করতে চান। এই প্রসঙ্গে মো. রাসেল বলেন, তিনি কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। কেন্দ্র থেকে মাঠে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, লাঙ্গল প্রতীক পেলে তিনি অবশ্যই নির্বাচন করবেন।