সিলেটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন হচ্ছে।
কড়া নিরাপত্তায় ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় শনিবার। ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে। এই উৎসবে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা বা গুজব না ছড়িয়ে সংঘাত সৃষ্টি কাতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রাখছে সিলেটে মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অতি গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং করছেন তারা।
সিলেট মহানগর পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকতা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই কর্মকর্তা জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবারের দুর্গাপূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে দুর্বৃত্তরা- এমন আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই মণ্ডপে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা, পূজা উপলক্ষে মেলা, হাউজি, সার্কাস বা জুয়ার আয়োজন না করা, আতশবাজি বা পটকা ফুটানো থেকে বিরত থাকা, উচ্চ স্বরে মাইক বা বাদ্যযন্ত্র না বাজানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মহানগরীতে ১৫৪টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ১৩৫টি ও পারিবারিক ১৯টি। সব মন্ডপে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের জন্য প্রতিটি মণ্ডপ এলাকা ছাড়াও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমেও মনিটরিং হচ্ছে।
এ বছর সিলেট বিভাগে পারিবারিক, বারোয়ারি ও সার্বজনীন পূজামণ্ডপ (স্থায়ী ও অস্থায়ী) ২ হাজার ৭৩৩টি। পুরো বিভাগে গত বছর থেকে এবার ১৪৯টি পূজা বেশি হবে। গত বছর ছিল সিলেট বিভাগে পূজা মণ্ডপ ছিল ২৫৮৪টি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদিপ দাশ বলেন, নগরীতে এবার ১৫৪টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ১৩৫টি ও পারিবারিক ১৯টি রয়েছে। আমরা সব মন্ডপেই পুলিশী নিরাপত্তা জোরদার করেছি। এছাড়াও বিশেষ গুরুত্ব বিবেচনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে। কেউ যাতে কোনো গুজব বা উস্কানি না ছড়াতে পারে।
এদিকে কোনো জঙ্গি সংগঠন, চরমপন্থী বা স্বার্থান্বেষী মহল যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না করতে পারে এজন্য র্যাবও মাঠে রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মনিরুজ্জামান।