সিলেটে ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক শানে রিসালত মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩ মার্চ শুক্রবার সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসা ময়দানে সকাল ১১ টায় সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মুরশিদে বরহক হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, রহমতে আলম প্রিয়নবী (সা.) হলেন আমাদের জন্য মুক্তির ওসীলা। তিনি দুনিয়ায় প্রেরিত হওয়ার আগে আহলে কিতাবরা যখন কাফিরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতো, বাহ্যিক উপকরণ ব্যবহার করেও সফলতা লাভ করতে পারতো না, তখন তারা নবী করীম (সা.) এর ওসীলা নিয়ে দুআ করতো। ইনজীল কিতাবে যেখানে নবী করীম (সা.) এর নাম আছে, সেখানে হাত দিয়ে তারা বিজয় কামনা করতো। সঙ্গে সঙ্গে বিজয় অর্জিত হতো। রাসূলে পাক (সা.) এর প্রতি মহব্বত যেমন দরকার তেমনি তার আনুগত্য করাও জরুরি। মহব্বত থাকলে আনুগত্য সহজ হয়ে যায়। হযরত শাহজালাল (র.) তার স্বদেশে শান্তি থাকতে পারতেন কিন্তু তিনি কেন সিলেট এসে এতো ত্যাগ তিতিক্ষা স্বীকার করলেন? এর মূল কারণ প্রিয়নবী (সা.) এর আনুগত্য ও ভালোবাসা। তিনি প্রিয়নবী (সা.) এর ইশারায়ই এসেছিলেন।
মিশরের প্রখ্যাত বুযুর্গ আল্লামা মুহাম্মদ ইবরাহীম আব্দুল বাইছ আল কিত্তানী বলেন, একজন মুমিনের জন্য কর্তব্য হলো নবীজির সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় করা। কারণ নবীর সাথে অন্তরের দুরত্ব থাকলে মানুষ কুফরীর দিকে ধাবিত হয়। নবীজি থেকে দূরে থাকার শেষ পরিণতি হয় নাস্তিক্যবাদ। নবীর সাথে যত বেশি সম্পর্ক হবে ঈমান তত বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, নবীজির বিষয়ে কথা বলতে হলে সাবধানতার সাথে বলতে হবে। তার প্রসঙ্গে যত আয়াত নাযিল হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে শুধু বাহ্যিক অর্থের উপর নির্ভর করলে হবে না। বরং এর অন্তর্নিহিত ও সূ² ব্যাখ্যা অনুসন্ধান করতে হবে।
হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে দুইদিনব্যাপী এ মহাসেম্মলনে এ ধরনের আয়োজনের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) শেষ নবী। তাঁর পরে নবুওয়াতের সকল দাবী বাতিল ও ভ্রান্ত এবং এ ধরনের নবুওয়াত দাবীকারী ও তাদের অনুসারীরা কাফির। সুতরাং কাদিয়ানীরা কাফির। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আমাদের দেশে কাদিয়ানীরা নিজেদের মুসলিম জামাত দাবী করে সমাবেশ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। এমনকি এটিকে কেন্দ্র করে একজন মুসলিম শহীদ হয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করছি। আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি এদের জন্য মুসলিম হিসাবে বিবেচনা করা না হয় এবং তাদের পক্ষাবলম্বন করে সরকারের বাহিনী যেন মুসলমানদের রক্ত না ঝরায়।
সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহাবউদ্দিন আহমদ, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বর্তমান বিশে^র শীর্ষস্থানীয় মুহাদ্দিস, মিশরের প্রখ্যাত বুযুর্গ আল্লামা মুহাম্মদ ইবরাহীম আব্দুল বাইছ আল কিত্তানী, মক্কা মুকাররামার প্রখ্যাত বুযুর্গ সায়্যিদ আল হাবীব উবায়দুল্লাহ আল আত্তাস, তুরস্কের ইয়ালোভা ইউনিভিার্সিটির অধ্যাপক প্রফেসর ড. আব্দুল কাদির আল হোসাইন, মিশরের ড. আহমদ আশ শরীফ আল আযহারী, বৃটেনের সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল ইদরিসী আল মক্কী, ভারতের উজানডিহির পীর ছাহেব সায়্যিদ মোস্তাক আহমদ আল মাদানী, সায়্যিদ জুনাইদ আহমদ আল মাদানী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, হাবিববুর রহমান হাবিব এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্জ শফিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ফারসী বিভাগের সাবেক চেয়াম্যান প্রফেসর ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, হযরত আল্লামা নজমুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, গাউসুল আজম জামে মসজিদ ঢাকার খতিব মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান, মাওলানা মুফতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, নেছারাবাদের পীর ছাহেব মাওলানা খলীলুর রহমান নেছারাবাদী প্রমুখ।
মহাসম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব মাওলানা এ.কে.এম মনোওর আলী, চরমোনাই আহসানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদরাসা বরিশালের প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দিক বিল্লাহ আল মাদানী, দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ খ ম আবু বকর সিদ্দীক, ঢাকা মহাখালী হুসাইনিয়া কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষ মাওলানা ড. নজরুল ইসলাম আল মারুফ, দৈনিক উত্তর পূর্ব এর সম্পাদক ও প্রকাশক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, ভবানীপুর কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ হাসান মাসুদ, মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুল ইসলাম, বুরাইয়া কামিল মাদরাসা উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী, আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসেন ছালেহী, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল করিম মহসিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোস্তফা হাসান চৌধুরী গিলমান, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম আলফাজ, নিউইয়র্ক আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম ইয়াহইয়া, সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনাম উদ্দিন ও কুমিল্লা জেলা কারী সোসাইটির সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন ফকির প্রমুখ।
এতে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শিহাব উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, সোবহানীঘাট কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, ইয়াকুবিয়া হিফজুল কুরআন বোর্ডের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা ফখরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, নূর মোহাম্মদপুর দরবার শরীফের পীর ছাহেব মাওলানা আবু তাহের মো. ছালেহ উদ্দিন, দরগাহে শাহজালালের মুতাওয়াল্লী সরেকওম ফতেহ উল্লাহ আমান জঙ্গি, সিলেট জেলা বারের সাবেক পিপি এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, ইবনে সিনা হাসপাতালের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, আল হারামাইন হাসপাতালের চেয়ার বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা গুফরান আহমদ চৌধুরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবূ ছালেহ মুহাম্মদ কুতবুল আলম, সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসা অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওলানা শফিকুর রহমান, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা সৈয়দ ইউনুছ আলী, মো. আলমগীর হোসেন, হাফিয নজীর আহমদ হেলাল, মাওলানা বেলাল আহমদ, রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, ছাগলনাইয়া ফাযিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হোসাইন আহমদ ভুইয়া, ফরিদপুর ভাঙ্গা ফাযিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবূ ইউসুফ মৃধা, মাওলানা আইনুল হুদা, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ রেজাউল হক, মুফতী মাওলানা ইজহারুল ইসলাম, জালালপুর জালালিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জ.উ.ম আব্দুল মুনঈম, সিলেট মহানগর আল ইসলাহর সভাপতি আলহাজ্জ শাহজাহান মিয়া, রাখালগন্জ সিনিয়র মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওলানা হবিবুর রহমান, সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবূ জাফর মুহাম্মদ নুমান, রাখালগন্জ সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শেহাব উদ্দিন আলীপুরী, আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে এর সদস্য মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বশির উদ্দিন, জকিগঞ্জ ফাযিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মোশাহিদ আহমদ কামালী, আনজুমানে আল ইসলাহ সুনামগঞ্জ জেলার সাবেক সভাপতি মাওলানা আবু তাহির খালিদ, ইমাম আযম ফাউন্ডেশন নওগাঁ এর পরিচালক মুফতি শাহ আলম, মাওলানা ফজলুর রহমান শিঙ্গাইরকুড়ি, মাওলানা ইদ্রিস খান, খালিশপুর মাদরাসার মাওলানা শফিকুর রহমান, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগরীর সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুল হক খান শাহেদ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
সায়্যিদ আল হাবীব উবায়দুল্লাহ আল আত্তাস বলেন, ঈমানের পূর্ব শর্ত হলো, নবী করীম (সা.) এর প্রতি ভালোবাসা। নবীর প্রতি ভালোবাসা না থাকলে নামায, রোযা, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি কোনো কিছু কাজে আসবে না। তিনি বরেন, কারো মধ্যে জামাল (সৌন্দর্য), কামাল (পরিপূর্ণতা) ও ইহসান (সদ্ব্যবহার) এই তিন গুণের যেকোনো একটি থাকলেও মানুষ তাকে ভালোবাসে। আর প্রিয়নবী (সা.) এর মধ্যে এ তিনটি গুণই পরিপূর্ণরূপে ছিল। তিনি চরিত্রগত ও সৃষ্টিগত দিক থেকে সবচেয়ে সুন্দর। দুনিয়ার কোনো সৌন্দর্য তাঁর সৌন্দর্যকে অতিক্রম করতে পারে না।
তুরস্কের ইয়ালোভা ইউনিভিার্সিটির অধ্যাপক প্রফেসর ড. আব্দুল কাদির আল হোসাইন বলেন, মীলাদ মাহফিল শুধু হিন্দুস্থানে নয়, পৃথিবীর সকল মুসলিম দেশেই হয়ে থাকে। আপনি মরক্কো, মিশর, সিরিয়া, ইন্দোনেশিয়া সহ যেখানেই যান, আহলে সুন্নতের মানুষদের মীলাদ মাহফিল করতে দেখবেন। যারা মীলাদ মাহফিল মানতে চায় না তারা আপনাদেরকে বলবে, এটা কুরুনে ছালাছায় হয় নাই। আপনি বলবেন কুরুনে ছালাছায় হয় নাই, এটা কোন বিষয় নিষেধ হওয়ার দলীল না। মীলাদ মাহফিলের মাধ্যমে রিযিক বৃদ্ধি পায়। এর স্বপক্ষে অনেক ঘটনা পাওয়া যায়।
মিশরের ড. আহমদ আশ শরীফ আল আযহারী বলেন, কিছু লোক আছে যারা নিজেদেরকে মুজতাহিদ মনে করে। তারা বলে, আগেকার ইমামরাও মানুষ, আমরাও মানুষ। কত জঘন্য কথা। তারা কি ইমাম আবু হানীফার মতো হয়ে গেছে? যিনি সাতজন সাহাবীর সাক্ষাত পেয়ে তাবেঈ হয়েছেন। তারা কি ইমাম মালিকের মতো হয়ে গেছে? তারা কি ইমাম শাফেঈর মতো হয়ে গেছে? তারা কি ইমাম আহমদের মতো হয়ে গেছে? এক লক্ষেরও উপরে সাহাবী ছিলেন। কিন্তু তারা সবাই ফতওয়া দিতেন না। দশজন, বারোজন অথবা বিশজন সাহাবী ফতওয়া দিতেন। মুজতাহিদ হওয়ার জন্য ইলমের প্রয়োজন হয়। অথচ আজকের সালাফীরা কোন প্রকার ইলম না নিয়ে নিজেদেরকে মুজতাহিদ দাবী করে। এদের থেকে সতর্ক থাকবেন। আমাদের আযহারের নীতি হলো আপনাকে অবশ্যই চার মাযহাবের কোন এক মাযহাব অনুসরণ করতে হবে। ইমাম জুনাইদের মূলনীতি অনুযায়ী তাসাওউফ অনুসরণ করতে হবে। কারণ এর বাহিরে যা আছে তা ভ্রষ্টতা।
বৃটেনের সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী বলেন, কোনো ইবাদত কবুলের জন্য মৌলিক শর্ত দুটি। একটি হলো এখলাস অপরটি হলো ইত্তেবায়ে রাসুল। এর আগে এই আকীদা শুদ্ধ করতে হবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল। তিনি আল কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আল্লাহকে ভালোবাসতে হলে রাসুল (সা.) এর অনুসরণের বিকল্প নেই।
বিদেশী অতিথিবৃন্দের বক্তব্য অনুবাদ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ও এরফোর্ট ইউনিভার্সিটির গবেষক মাওলানা মারজান আহমদ চৌধুরী। সম্মেলনের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আহবায়ক মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী।