ঢাকা, রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিলেটের গ্রামীণ জনপদে ডিজিটালের ছোঁয়া যারা পৌঁছে দিচ্ছেন

রিমা বেগম, সিলেট: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১০:৪৪:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

 



ডিজিটালের আমেজ ছড়িয়ে দিতে সিলেটের বেসরকারিভাবে গড়ে উঠা কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শহর থেকে গঞ্জ ও গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রযুক্তির ছোঁয়া পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর দজ্ঞ কর্মীদের হাত ধরে। গ্রামের সাধারণ মানুষও প্রযুক্তির সকল ধরণের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন হাতের কাছে। ফলে সিলেটের সর্বত্রই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এখন অনেকটা সমৃদ্ধির পথে। অনুসন্ধানে সিলেটে ডিজিটাল জগতের নানান তথ্য জানা গেছে।

সিলেটের তথ্য প্রযুক্তির বিস্তার নিয়ে নানান তথ্য দৈনিক বায়ান্নের কাছে তুলে ধরেছেন সিলেটের বন্দরবাজারস্থ করিম উল্লাহ মার্কেটের ইউনিক কম্পিউটার নামক প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত¡াধিকারী সরদার আমিনুর রহমান সুপন।

তিনি জানাচ্ছিলেন ডিজিটালাইজেশনের মূল কাজটি মূলত বেসরকারিভাবে গড়ে উঠা কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানগুলো করে যাচ্ছে। আর ওই কাজ করা মোটেই সহজ নয়। এই কাজ করতে গিয়ে চরম মূল্য দিতে হয়েছে অনেককে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে ঘরে ফিরে যেতে হয়েছে। কেন এমনটি হচ্ছে জানতে চাইলে সুপন জানান, কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বলতে গেলে অলাভজনক। এখানে পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যায় না। ফলে অলাভজনক এই ব্যবসায় একসময় টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

সুপন নিজের প্রতিষ্ঠানকে এই ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করে বলেন, ২০০৪ সালে ইউনিক কম্পিউটারের যাত্রা হয়। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটি সিলেট নগরীর আম্বরখানা বড়বাজারে চালু করা হয়। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা হয় শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে। প্রশিক্ষণ ইন্সটিউট হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি সুনাম অর্জন করে। কিন্তু শিক্ষকদের বেতন, অফিস ভাড়াসহ অন্যান্য খরচের কারণে প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রাখা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ওই অবস্থায় প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে সুপনের পাশে দাঁড়ান বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা সরদার আজিজুর রহমান। বাবার সহযোগিতায় টিকে গেলেন সুপন।

সুপন জানান, ক্লান্তহীন শ্রম দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলতে নিজকে আত্মনিয়োগ করেন। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশপাশি বিক্রয় কেন্দ্র, সার্ভিস কেন্দ্র, নেটওয়ার্কিং, লেপটপ সার্ভিস কেন্দ্র, সিসিটিভি বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলেন। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনের দজ্ঞ একটি কর্মীবাহিনী কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটিতে।

সুপন জানান, সিলেটকে ডিজিটাইলেজেশন করতে নিরলসভাবে কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ জনপদ পর্যন্ত ছুটে চলেন তার প্রতিষ্ঠানের  কর্মীরা। সিসিটিভি স্থাপন, নেটওয়ার্কিংসহ তথ্য প্রযুক্তির সর্বশেষ ভার্সন নিয়ে ইউনিক কম্পিউটারের কর্মীরা গ্রামের মানুষের দরজায় পৌঁছে যান। কিন্তু প্রধামন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে যারা বেসরকারীভাবে কাজ করছেন, তারা কোনো ধরণের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন না। যার জন্যে এই সিলেটেই অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এই বিষয়ে সরকারের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।