মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মুরাইছড়া বস্তি এলাকার এক কিশোর নিহত হয়েছে। তার লাশ সোমবার বিকালে ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।
কুলাউড়া কর্মদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ জানান, লাশ ফেরত আনার ব্যাপারে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে।
স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীদের পরিবার জানান, রবিবার বিকালে মুরাইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ওরফে পারভেজ (১৫) ও একই গ্রামের মৃত সাদাই মিয়ার ছেলে ছিদ্দিকুর রহমান (৩৪) ওই সীমান্তের শিকরিয়া এলাকায় গরু চড়াতে যান। একপর্যায়ে তারা শূন্যরেখার কাছাকাছি চলে যান।
আহত ছিদ্দিকুরের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার মাগুরুলি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। বাম পায়ে গুলি লেগে আহত ছিদ্দেকুর রহমান পালিয়ে এলেও গুলিবিদ্ধ পারভেজকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে তিনি মারা যান। নিহত পারভেজের মরদেহ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ সময় আহত অবস্থায় ছিদ্দিকুর ফিরে এলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া, পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থান অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিলভিস্টার পাঠাংয়ের দাবি, বিজিবির সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন, নিহত সাদ্দামের লাশ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালের মর্গে আছে। লাশ ফেরত আনার জন্য তারা বিজিবির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগও করছেন।
তিনি বলেন, দুপুর থেকেই নিহতদের স্বজনদের নিয়ে বর্ডার এলাকায় আছি। লাশ দেশে এলে গ্রহণ করা হবে।
কুলাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, বিএসএফ সদস্যের গুলিতে একজন নিহত ও অপর একজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।