সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। নতুন করে পানি বাড়ায় এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদ-নদীর পানি। নদীর উপচে পড়া পানিতে পৌর শহরে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক শ মানুষ।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জেলায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
এরই মধ্যে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব নতুনপাড়া, মরাটিলা, শান্তিবাগ ও নবী নগর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাঁটুসমান পানি জমেছে এসব এলাকায়। প্রায় সব ঘরেই পানি ঢুকেছে। অনেকের রান্নাঘরে পানি ঢোকায় খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
মরাটিলা এলাকার বাসিন্দা রিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার ঘরে কোমর পানি। ঘরের চুলা দুদিন হলো বন্ধ। পানির দুর্গন্ধের মধ্যেই কষ্ট করে কোনো রকম ঘরে থাকছি। ছেলেমেয়ে কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারছে না।’
একই এলাকার সবিতা রানী দে বলেন, ‘পানি আইয়া বিপদের মধ্যে আছি। রান্নাবান্না সব বন্ধ, বাজারের গাড়িও আয় না। আর এর মধ্যে গিয়া কর্তা অনেক কষ্ট করি বাজার থাকি হোটেলের খাবার আনিয়া খাইরাম।’
এদিকে সীমান্তবর্তী ৫টি উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন করে পানি বাড়ছে শান্তিগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা ও জগন্নাথপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে। পানির চাপে ভেঙে গেছে সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কের রামনগর ব্রীজটি। চরম দুর্ভোগে দিনযাপন করছেন পানিবন্দি মানুষজন। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে বন্যাদূর্গত এলাকায়।