গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে ৩ সহপাঠী কর্তৃক শাহরিয়ার রহমান শিহাব (১৫) নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে আব্দুর রাজ্জাক সুমন, জিন্নাহ মিয়া ও বাদশা মিয়া নামে ৩জন হত্যাকৃত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ। এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেছে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানায়- গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পুর্ব বেলকা গ্রামের আনিছুর রহমানের পুত্র হত্যাকান্ডের শিকার শাহরিয়ার রহমান শিহাবকে গত ১৪ জুলাই ২২ইং তারিখ রাত ১০টা ১৫ মিনিটে বেলকা চৌরাস্তা মোড় হতে তাকে কল দিয়ে ডেকে এনে শিহাব এর বাবার নিকট ৫০হাজার টাকা মুক্তিপণ এর উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণ করে তারই সহপাঠী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য শান্তিরাম গ্রামের আতাউর রহমান পুত্র আব্দুর রাজ্জাক সুমন, শান্তিরাম কালিয়ার ছিড়া গ্রামের মঞ্জু মিয়ার পুত্র জিন্নাহ মিয়া ও শান্তিরাম ফোরকানিয়া গ্রামের পুত্র বাদশা মিয়া। পরের দিন ১৫জুলাই ২২ ইং তারিখে শিহাবের বাবা বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় জিডি করেন। যার জিডি নং- ৬৫৮। জিডি করার দিনই বিকেলে পুলিশ খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫নং কাপাসিয়া ইউনিয়নের লাল চামার খেয়া ঘাটের পুর্ব দক্ষিন পাশে তিস্তা নদীর পাড় হতে শিহাবের লাশ দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। আরও জানা যায়- উক্ত ৩ হত্যাকারি শিহাবকে জুসের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে বস্তায় ঢুকিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলে এবং
শিহাবকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করত: খুন করে লাশ গুম করে হত্যাকাণ্ডটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য মৃতদেহ তিস্তা নদীতে ফেলে দেয়। পরে গাইবান্ধা গাইবান্ধা পুলিশ সুপার এর নির্দেশে গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) আব্দুল আউয়াল এর নেতৃত্বে গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের এস,আই নওশাদ ও সুন্দরগঞ্জ থানার এ,এস,আই আরিফুল ইসলাম তদন্ত করে তথ্য উপাত্ত খুজে বের করে প্রযুক্তির সহায়তায় ৩ হত্যাকারিকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় পেনালকোড এর ৩৬৪/৩০২/২০১/৩৪ ধারায় ১৬জুলাই মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৭।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু খায়ের, ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান, ট্রাফিক অফিসার ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক, পুলিশ পরিদর্শক আফজাল হোসেন, এস,আই নওশাদ ও এ,এস,আই আরিফুল ইসলাম। এ সময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।