গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন এবং পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করে সহযোগিতা চাইছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই যোগাযোগ টেলিফোন আলাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে বিমসটেক ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের নেতা হিসেবে অংশ নেবেন ড. ইউনূস। এ বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই কনফারেন্স ডিপ্লোমেসির মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক শীর্ষ নেতার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাবেন তিনি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বহুপাক্ষিক কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন এবং সাইডলাইনে একাধিক দুই নেতার মধ্যে বৈঠক একটি কার্যকরি ব্যবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে আগামী ২ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা থাইল্যান্ড যাবেন। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে আগামী ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর শীর্ষ সম্মেলন হবে। ওই সময়ে সাইডলাইনে অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ থাকবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছাড়াও বিমসটেকের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন ভারত, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার। ওইসব দেশের রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রী এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠক শুরু হবে। প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী ওই অনুষ্ঠানে বিশ্বের প্রায় সব শীর্ষ নেতৃত্ব নিউ ইয়র্কে অবস্থান করেন। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস জানিয়েছেন, তারা মুহাম্মদ ইউনূসের নিউ ইয়র্ক সফর সফল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। সেইসঙ্গে অন্যান্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সাইডলাইনে বৈঠকের ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’
‘সাধারণভাবে দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বক্তব্য দেওয়ার নির্ধারিত সময় সেপ্টেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে হয়ে থাকে এবং ওই অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নেবো’, বলেন ওই কর্মকর্তা।