আসন্ন ২৬শে ডিসেম্বর সৈয়দপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সৈয়দপুর উপজেলার একটি বৃহৎ এবং গুরুত্বপূর্ন ইউনিয়ন বোতলাগাড়ী। ইউনিয়নটি রেললাইনের কারনে দুইভাগে বিভক্ত। স্বাধীনতা পরবর্তী সৈয়দপুর উপজেলার কুখ্যাত ইউনিয়ন হিসাবে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খ্যাতি রয়েছে। এই ইউনিয়নের রেললাইনের পশ্চিম পার্শ্বের পোড়ার হাট এলাকাটি কুখ্যাত ডাকাত ও গরুচোরদের এলাকা হিসাবে চিহ্নিত ছিলো। স্বাধীনতার ৫০ বছরে পা দিলেও এলাকাটি কিছুটা পরিবর্তন হলেও শতভাগ হতে পারেনি। রেললাইনের পূর্ব দিকে সোনাখুলী এলাকাটি তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এই এলাকার লোকজন শান্তিপ্রিয় , হিন্দু মুসলমান সবাই ভ্রাত্বত্বের বন্ধনে বসবাস করে।
রেললাইনের পশ্চিম দিকে ভোট বেশী থাকায় প্রায় প্রায় চেয়ারম্যান সেদিকে চলে যায়। এবারের নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীসহ মোট ৭জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে রেললাইনের পশ্চিম পাড়ে সরকার দলীয় নৌকা মার্কার প্রার্থী প্রভাষক হাপ্পু যে সারাজীবন শহরে কাটিয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য ৬জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী মনিরুজ্জামান সরকার জুন ও কুখ্যাত মাদক সম্রাট মোন্নাফ আলী ওরফে মোন্নাফ ডাকাত বংশগত ডাকাত পরিবার। তার বাবাও ছিলো কুখ্যাত ডাকাত এবং তার মামারাও অত্র এলাকার কুখ্যাত ডাকাত হিসাবে পরিচিত ছিলো। এবং বাকী ৪ জনের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত একজন ও জামাত-শিবির সমর্থিত খয়রাত হোসেন। এদের সবাই রেললাইনের পশ্চিম পার্শের মানুষ। রেললাইনের পূর্ব দিকে ভোট করছেন সাবেক চেয়ারম্যানের বড়ভাই হাবিব চৌধুরী ও তার আপন ফুপা রেজা চৌধুরী।
প্রার্থীর সংখ্যা বেশী হওয়ার কারণে সবাই নিজ নিজ এলাকাকে আকড়ে ধরে জনগনের কাছে ভোট চাইছেন। এব্যাপারে গত দুইদিন ধরে একাধিক ভোটারের মতামতে জানা যায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ শক্তিশালী হলেও সরকার দলীয় নৌকা মার্কার প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থানে আসতে পারছেন না। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী দীর্ঘদিন ধরে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় আগে থেকে জনগনের সুখে দুখে পাশে থাকায় তার এলাকায় জনগনের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। পাশাপাশি কুখ্যাত মাদক সম্রাট মোন্নাফ ডাকাত কালো টাকা ছিটিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ও সরকার দলীয় প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে চলেছে। সেই হিসাবে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ৩ নং অবস্থানে রয়েছেন। রেললাইনের পূর্ব দিকে ফুপা আর ভাতিজার লড়াইয়ে সর্বশেষ তার এলাকার লোকজন একজনকেই বেছে নিবেন বলে তারা জানান। ভোটারদের অনেকেই বলেন মোন্নাফ ডাকাতের টাকা খাব কিন্তু ভোট আঞ্চলিকতার ভিত্তিতেই দেব। একাধিক হিন্দু পরিবারের ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা জানান আমরা জায়গার ছেলেকেই ভোট দেব।