মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সারা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রেলষ্টেশনগুলি আধুনিকায়নের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে জরুরী বরাদ্দ দিয়ে ষ্টেশনগুলি রিমডেলিং এর কাজ শুরু করান। উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে সৈয়দপুর রেলষ্টেশন সেসব গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশনগুলির মধ্যে অন্যতম হওয়ায় এই ষ্টেশনও আধুনিকায়নের জন্য বরাদ্দ পায়। তারই ধারাবাহিকতায় এই ষ্টেশন রিমডেলিং এর ঠিকাদারী পায় ম্যাক্স। অফিস সূত্রে জানা যায় ৬ কোটি টাকা বরাদ্দে রেলষ্টেশন আধুনিকায়নের প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে ছিলেন আফজাল হোসেন, ডিএন-২ ছিলেন ফিরোজ ই আহমেদ যিনি বর্তমানে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত আছেন, এইএন ছিলেন ফজলুর রহমান, পার্বতীপুর, আই ডাব্লু ছিলেন তৌহিদুল ইসলাম, পার্বতীপুর, ছিলেন সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। তাদের সরাসরি তত্বাবধানে রেলষ্টেশনটি আধুনিকায়নের কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ২০১৪ সালে ষ্টেশন বিল্ডিং রেল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করে।
গত কয়েকদিন পূর্বে পূর্বের ন্যায় সৈয়দপুর ষ্টেশন পুনরায় আধুনিকায়নের জন্য রেলমন্ত্রী মহোদয় নতুন করে বরাদ্দ দিয়ে সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেন ঐদিন রাতেই গিয়ে দেখা যায় যে বিল্ডিং এর সামনের অংশে কয়েক স্থানে বিরাট বিরাট ফাটল দেখা দিয়েছে। রেলওয়ে ষ্টেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা উক্ত ভবনে অল্প কয়েক বছরের মধ্যে ফাটল দেখা দেওয়া রেলওয়ের দূর্নীতির জলন্ত উদাহারণ। সৈয়দপুর রেল কারখানাটি একজন দূর্নীতিবাজ শ্রমিক নেতার কারণে ধ্বংস হয়েছে, রেলওয়েতে দীর্ঘদিন যাবৎ জনবল নিয়োগ না থাকার কারণে রেল হারাচ্ছে মূল্যবান সম্পদ, কোয়ার্টার, বাসা, বাংলোসহ রেলের মূল্যবান জমি। এমনকি রেল কারখানার কেপিআই জমিও দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা তার বাবার নামে স্কুল বানিয়েছেন। বর্তমানে সৈয়দপুর রেল ষ্টেশনের ভবনের ফাটলের কারন হিসাবে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার ও কর্তৃপক্ষের দূর্নীতির কারণেই হয়েছে বলে মনে করছেন সকল মহল। ষ্টেশন ভবন ফাটলের বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করছেন সকল স্থানীয় বাসিন্দাগন।