ঢাকা, বুধবার ৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫শে পৌষ ১৪৩১

হাইকোর্টের নির্দেশে বিডিপিকে নিবন্ধন দেওয়ার আশ্বাস ইসির

এম এম লিংকন | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:৪০:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

হাইকোর্টের নির্দেশে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (বিডিপি) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলে দৈনিক বায়ান্নকে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুহা. নিজামুল হক। 

তবে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত ইসির নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৮ টির মতো। 

সম্প্রতি হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনার কপি নিয়ে  মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিবন্ধন পেতে লিখিত আবেদন করে বিডিপির প্রতিনিধি দল। 

নিবন্ধনের বিষয়ে সিইসি কি মতামত দিয়েছে জানতে চাইলে মুহা. নিজামুল হক দৈনিক বায়ান্নকে বলেন, আমরা হাইকোর্টের ডকুমন্টেসসহ লিখিত আবেদন করেছি। এতে সিইসি আমদের মৌখিকভাবে বলেছে ৩/ ৪ দিনের মধ্যেই আপনাদের নিবন্ধনের প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। এছাড়া ইসির সচিব অফিসিয়াল কাজে ঢাকার বাইরে থাকায় নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া দুই / একদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন নাজমুল হক।

নিবন্ধিত দল হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারির পরই থেকেই অতোপ্রতভাবে জনগণ ও দেশের জন্য সক্রিয় হয়ে কাজ করবে বিডিপি বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নাজমুল হক। 

কেন্দ্রীয় কমিটিসহ ৩৫ টি জেলা ও ১০০ টির বেশি উপজেলায় ডেভেলপমেন্ট পার্টির বর্তমান কমিটি রয়েছে উল্লেখ করে দলের মহাসচিব নাজমুল হক বলছেন, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই দেশের প্রতিটি জেলা এবং উপজেলাসহ তৃণমূলের সব জায়গাতেই কমিটি গঠন করা হবে।   

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (বিডিপি) নিবন্ধন দিতে গত বৃহস্প্রতিবার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দলটির চেয়ারম্যানের করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

এরআগে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ২০২২ সালের অক্টোবরে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নামের নতুন এই দল। দুটি বিষয়ে আপত্তি উল্লেখ করে ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন না দিয়ে আবেদন বাতিল করে। এর বৈধতা নিয়ে ওই বছরই হাইকোর্টে রিট করেন দলটির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম।

বায়ান্ন/পিএইচ