কুমিল্লার হোমনায় খাবার খাওয়া নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় ঝগড়া বাধিয়ে সৎ মা সেনোয়ারা বেগমকে (৬৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৎ ছেলে মোফাজ্জল হোসেন বেনুর বিরুদ্ধে। নিহত সৎ মায়ের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভিকটিমের আরেক সৎ পুত্রবধূ হোসনে আরা বেগম বাদি হয়ে ওই দিন রাতে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। নিহত সানোয়ারা বেগম শ্রীনগর গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) অভিযুক্ত আসামী সৎ ছেলে মোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলা শ্রীনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবুল কাশেম তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ২০০৯ পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের সেনোয়ারা বেগমকে বিয়ে করেন। সানোয়ারা বেগমের ঘরে কোনো সন্তানাদি ছিল না। আবুল কাশেমের প্রথম স্ত্রীর ঘরে তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিহত সানোয়ারা বেগম সৎ মা হওয়ায় প্রায়ই তাকে গালমন্দ করতেন মোফাজ্জল হোসেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খাবার খেতে গিয়ে সৎ মায়ের সঙ্গে ঝগড়া বাধেন। এক পর্যায়ে মাকে কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাাত্মক আহত করেন। তার চিৎকার শুনে অন্যরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুরাদনগর উপজেলার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সানোয়ারা বেগমের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
সেখানে থেকে তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় তাকে রাত সাড়ে দশটার দিকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম বলেন, নিহত সানোয়ারা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী সৎ ছেলে মোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে অপ্রকৃতিস্থ বলে মনে হয়েছে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএ