ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

১১ মাসে নাভারন হাইওয়ে থানার জরিমানা আদায় ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা

বেনাপোল প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৪০:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহতা রোধ করতে যশোরের শার্শায় অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে নাভারন হাইওয়ে থানার পুলিশ। গত ১১ মাসে (ডিসেম্বর থেকে অক্টোবর-২১) থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানার টাকা আদায় করা হয়। নাভারন হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক এ. এম. এম আসাদউজ্জামান এ তথ্য জানান। 

হাইওয়ে পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে গত ১১ মাসে এক হাজার ৬৭৫টি মামলা থেকে এ জরিমানার টাকা আদায় করা হয়। এ সময়ে সড়ক পরিবহন আইনে দ্রুতগতি ১১৪টি যানবাহন থেকে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, এক হাজার ১০টি থ্রি-হুইলার থেকে ২৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও ৫৫১ টি মটর সাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ১৬ লাখ ৫৩ লাখ জরিমানার টাকা আদায় করা হয়। 

এ বিষয়ে নাভারন হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক এ. এম. এম আসাদউজ্জামান বলেন, মটরসাইকেলে মামলা খেতে না চাইলে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এ জন্য তিনটা কাগজের যে কোন একটি না থাকলে অবশ্যই মামলা হবে। রেজিষ্ট্রেশন কাগজ, ট্যাক্স টোকেন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স অবশ্যই থাকতে হবে। ট্যাক্স টোকেন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ থাকতে হবে। না থাকলে মামলা ও জরিমানা হবে। পুরাতন বাইক কেনার পর নাম ট্রান্সফার বা পরিবর্তন না করলে মামলা হবে। শিক্ষানবিশ কাগজ আছে কিন্তু পরীক্ষা, ছবি তোলা এবং ফিংগার দেয়নি এমন গাড়ির মালিকরা রাস্তায় বের হলে মামলার বিধান রয়েছে। বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরেননি অথবা আপনি পরেছেন কিন্তু পেছনের আরোহী পরেননি এমন পাওয়া গেলে মামলা হবে। ট্রাফিক বা রোড সিগনাল না মানলে মামলা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

এছাড়াও উল্টা পথে গাড়ি চালালে, ব্রেক লাইট না জ¦ালানো, ইন্ডিকেটর লাইট ভাঙা বা না থাকলে, রাতে হেড লাইট না জ্বালালে, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বললে অথবা নেশা করে গাড়ি চালালে, অনুমতি ব্যতিত বাইক মোডিফাই করলে, রঙ পরিবর্তন করলে, ভিআপি হর্ন ব্যবহার, ফগ লাইট ব্যবহার, হ্যালোজেন লাইটের জায়গায় এলইডি হেডলাইট ব্যবহার, বাইকে ২ জনের অধিক যাত্রী থাকলে, অবৈধ ভাবে পার্কিং করলে, সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করলে, ফুটপথে মোটরসাইকেল চালালে ও লুকিং বা সেফটি গ্লাস না থাকলে সাধারণত মামলা করা হয়। 

তিনি আরো বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। এতে অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা কমে এসেছে। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে কিশোর ও উঠতি যুবকদের বাইক কিনে দেওয়া। ছেলের সখ মেটাতে বা বায়নার কারণে পিতা মাতা বাইক কিনে দিচ্ছেন। অভিভাবক যদি সচেতন না হয় তবে মামলা দিয়ে সড়কে মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন। নাভারন হাইওয়ে পুলিশ এ জন্য সচেতনতামুলক কাজ করে যাচ্ছে। কাউকে হয়রানি ও অর্থদন্ড করার মানসে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান নয়। মৃত্যু হ্রাস ও দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে আইনের আওতায় আসার অভ্যাস এবং নিয়ম মানার জন্যই মূলত পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।