ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৪:৪৭:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সারাদেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১০ ও নারী পাঁচজন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৩ ও বেসরকারি হাসপাতালে দুজন মারা যান। এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ৮৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯২৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ২৩ হাজার ৩১ জনে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২০ শতাংশ।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু এবং চার হাজার ৭৪৬ নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৭৪টি ল্যাবরেটরিতে ৩১ হাজার ৮৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ৩২ হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট এক কোটি ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

এদিকে, একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১২ হাজার ৭৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৬৬ জন।

বিভাগওয়ারি হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের পাঁচজন, চট্টগ্রামে চারজন, খুলনায় দুজন। এছাড়া রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুরে একজন করে মারা গেছেন। তবে ময়মনসিংহ বিভাগে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি।

বয়স অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে ১০ বছরের বেশি বয়সী একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, ষাটোর্ধ্ব চারজন, সত্তরোর্ধ্ব চারজন, আশি বছরের বেশি বয়সী একজন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে শুরু করে।