গাইবান্ধা উপনির্বাচনে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর গাইবান্ধা উপনির্বাচনে বন্ধ হওয়া ৯৪ কেন্দ্রের বিষয়ে আবারও তদন্তের নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউইয়াল। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন তিনি। এরপর প্রতিবেদন অনুযায়ী চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান সিইসি।
গত ১২ অক্টোবর দেশের ইতিহাসে প্রথমবার ভোটে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন সংসদীয় আসনের পুরো ভোট বন্ধ ঘোষণা করেন। এরপরই আলোচনায় আসে ইসি। গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বন্ধ করার পর এর পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় নানা মহলে।
তবে নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় বন্ধ হয়েছিল ভোটগ্রহণ। আরপিওর ক্ষমতাবলে ইসি ভোট বন্ধ করেছে।
এরপর ইসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভোটগ্রহণে ব্যাপক অনিয়ম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের সব কেন্দ্রে বন্ধ করা হয় ভোটগ্রহণ। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও বলা হয়।