বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আশনির প্রভাবে ভোলায় মঙ্গলবার রাতভর টানা বৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে মরিচ, চিনা বাদাম, মুগ ডাল ও সয়াবিন রয়েছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের অনুমান, এক রাতের এ বর্ষণে ১০ হাজার হেক্টর জমির রবিশস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষকরা যে মুহূর্তে ফসল ঘরে তোলার কথা ভাবছিলেন, তখনই দুর্যোগের কবলে পড়েছেন। ফসলের ক্ষতি হওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকলে আরো ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ঝড়ো বাতাস এবং জলাবদ্ধতায় এসব ফসল বিনষ্ট হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের মধ্যে মুগ, সয়াবিন ও মরিচের ক্ষতির আশঙ্কা বেশি।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের জমি দ্রুত নিষ্কাশন ও কর্তনের পরামর্শ দিয়েছে কৃষিবিভাগ।
উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের কৃষক আলী আকবর জানান, এ বছর এক একর জমিতে মুগ ও সবজি আবাদ করেছেন। রাতের বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে তার ৮-১০ গণ্ডা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতির কথা উল্লেখ করে ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, রবিশস্যের বেশিরভাই তোলা হয়েছে। মাঠে থাকা ফসলের মধ্যে চিনা বাদাম ও মরিচের ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের পানি নিষ্কাশন ও দ্রুত ফসল কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছি।