বাংলাদেশি তরুণীর প্রেমের টানে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ছুটে এসেছেন পাকিস্তানি যুবক। পরে পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) উপজেলার বেলছড়িতে নিজ গ্রামে সামাজিক রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর খাগড়াছড়িতে তাদের কোর্ট ম্যারেজ হয়।
পাকিস্তানি ওই যুবকের নাম আলিম উদ্দিন (২৮)। তিনি পাকিস্তানের লাহোর সিটির বাসিন্দা। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। অপরদিকে বাংলাদেশি তরুণীর নাম তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি (২১)। তিনি মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়ন উত্তরপাড়ার আলী হোসেনের মেয়ে। তিনি খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ব্যবসায়ী শাখার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
জানা যায়, ৮ মাস ধরে ফেসবুকের মাধ্যমে পাকিস্তানি যুবক আলিম উদ্দিনের সঙ্গে তাহমিনা আক্তার বৃষ্টির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের টানে গত ১১ ডিসেম্বর আলিম উদ্দিন পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বেলছড়িতে আসেন। এরপর উভয়ের সম্মতিতে তারা দুজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এখন মেয়ের বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
তরুণীর বাবা আবুল হোসেন কালবেলাকে বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর খাগড়াছড়িতে তাদের কোর্ট ম্যারেজ হয়। ২২ ডিসেম্বর বেলছড়ি নিজ গ্রামে সামাজিক রীতি অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করি। আমার মেয়ে তার স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানে চলে যাবে। এজন্য পাসপোর্ট ও ভিসার কাজ চলমান রয়েছে। ততদিন পর্যন্ত তারা এখানেই থাকবে। দোয়া করি, তারা যেন সুখী হয়।
পাকিস্তানি যুবক আলিম উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, গত ৮ মাস ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। আমার পরিবার আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে অবগত আছেন। তাদের সম্মতিতে বিয়ে করেছি। আমি অল্প কিছু বাংলা বলতে ও বুঝতে পারি, তাহমিনা আমাকে তা শিখিয়েছে।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানি নাগরিক প্রেমজনিত কারণে মাটিরাঙ্গায় আসার ঘটনায় আমি অবগত আছি। তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা সেজন্য আমরা তার ওপর নজর রাখছি।