বানের জলে ভেসে গেছে সিলেটের ওসমানীনগরের আট ইউনিয়ন। স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার হঠাৎ পানি বৃদ্ধি শুরু হলে মুহূর্তেই সহস্রাধিক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে যায়। ফলে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে শুরু করেন বন্যাকবলিত লোকজন।
সড়কগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আন্তঃসড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রোববার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যের অভাবে অর্ধাহারে-অনাহারে রয়েছেন অসংখ্য বানভাসি মানুষ। মানুষের পাশাপাশি খাদ্যের অভাবে রয়েছে গৃহপালিত পশুপাখিও।
রোববার দুপুর পর্যন্ত আট ইউনিয়নের ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭৫০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও ঠিকমতো খাবার পৌঁছাচ্ছে না।
সুন্দিকলা গ্রামের সায়াদ উল্যা বলেন, 'পাঁচ-ছয় দিন ধরে ঘরে পানি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি। গত তিন দিনেও পেটে খাবার জোটেনি।'
রোববার সাদিপুর ইউনিয়নের বেগমপুর, সাদিপুর, গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের কলারাই ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার সড়কগুলোতে কোমরপানি। মানুষের বসতঘরের ভেতরে হাঁটুপানি।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মিলন কান্তি রায় বলেন, শনিবার সরকারিভাবে ৮ টন চাল এবং নগদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনও লোকজন উঠছেন।