ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কসবায় হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশের সময় : শনিবার ৯ এপ্রিল ২০২২ ০৭:০৩:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 
দেশের সবচে' বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়। উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকাশাই মৌজায় ১২.৩৫ এর ভূমিতে গড়ে ওঠা দেশের সবচে' বড় এই আশ্রয়ন প্রকল্পে থাকতে পারবেন চারশ' পরিবার। প্রত্যেক পরিবারকে দুই শতাংশ ভূমির মধ্যে আড়াই লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পে থাকবে স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল সুযোগ সুবিধা। আগামী জুলাই মাসে উপকারভোগীদের মাঝে এসব ঘর হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। 
 
 
আশ্রয়হীন মানুষদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে দুই শতক করে জমি দলিল করে দেয়ার পাশাপাশি ঘর করে দেয়ার মতো নজির পৃথিবীতে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর কাজ পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া
একথা বলেন। 
 
 
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে এই আশ্রয়ণে যারা থাকবে তাদের বিভিন্ন সরকারি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে কর্মশীল করে গড়ে তোলা হবে।পাশাপাশি তাদের জন্য সরকারি ঋণ সুবিধাও থাকবে। এছাড়াও তিনি কাজের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশের বৃহৎ প্রকল্প হওয়ায় এর গুণগত মান ধরে রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষন করা হবে। পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, আশ্রয়ণ প্রকল্পের পিডি ও যুগ্ম সচিব আবু সালেহ মো. ফেরদৌস খান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো.আশরাফ উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রকল্পস্থলে গাছের চারা রোপণ করেন।  
 
 
প্রসঙ্গত, কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকাশাই মৌজায় ১২.৩৫ এর ভূমিতে গড়ে ওঠা এই আশ্রয়ন প্রকল্পে চারশ' পরিবারের ঠাঁই হবে। তাদেরকে দুই শতাংশ ভূমির মধ্যে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে থাকবে স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ-মন্দিরসহ সকল সুযোগ সুবিধা। চলতি বছরের জুলাই নাগাদ এসব ঘর উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে।