ঢাকা, শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

কোথায় আছে জাবির মাদক সম্রাট যুব

জাবি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:১১:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার সরকার পতনের পর থেকেই লাপাত্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদক সম্রাট বলে পরিচিত আরমান খান যুব।
 
আরমান খান যুব বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৪১ তম ব্যাচ (২০১১-১২) শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের ছোট ভাই।
 
 
জানা যায়, ২০১৮ সালে যুবর বড়ভাই আল নাহিয়ান খান জয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পরই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন যুব। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও ছয় বছর প্রভাব খাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে ছিলেন তিনি দীর্ঘদিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী, ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারিদের মধ্যে কেউ যুবর কথার বাইরে গেলেই সেখানে নিয়ে নির্যাতন চালাতেন তিনি। 
 

যুবর নির্দেশেই পরিচালিত হতো বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকার মাদক কারবার। এছাড়াও যুব নিজে ছাত্রদের রুম দখল করে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ীদের মারধরসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিল। শুধু ব্যবসায়ী মারধরই নয় সে নিজ দলের নেতাকর্মীদের ও তার কথা না শোনায় শারীরিক নির্যাতন করেছেন তিনি। গত বছরের ১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান ইমনকে নির্যাতনের পর যুবর অপকর্মের বিষয়টি সামনে আসে। এমনকি ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের পেটোয়া বাহিনীর আক্রমনের মদদদাতাও ছিল এই ধ্রুব।
 
 
হলের একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জাবিতে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ-পুলিশবাহিনীর হামলার দিনও সে হলে ছিল। সেদিনও ছাত্রলীগের হামলার প্রত্যক্ষ নির্দেশদাতা ও মদদদাতা ছিল সে। শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে ক্যাম্পাস থেকে পালাতে বাধ্য হয় ছাত্রলীগ। সেদিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মাদক সম্রাটকে ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে এখন সে নিজের লাপাত্তা। 
 
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আরমান খাব যুবকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
 
শিক্ষার্থীদের দাবি এই মাদক সম্রাটকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে তার কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা।