নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক আহম্মেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর খাবার বিতরণকে কেন্দ্র আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে স্বেচ্ছাসেবকলীগের চার নেতা আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহতরা হলেন-নড়াইল পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রিয়াজ আহম্মেদ সজল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী তৌহিদুর রহমান সাগর, ফারুক হোসেন ও নাহিদুজ্জমান। এদের বাড়ি শহরের ভওয়াখালী ও চরেরঘাট এলাকায়।
ভুক্তভোগীরা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক আহম্মেদের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের কয়েকটি খাবার প্যাকেট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বোরহান উদ্দিনের কাছে ছিল। এ সময় স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা বোরহান উদ্দিনের কাছে খাবার চায়লে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা বোরহান উদ্দিনকে মারধর করেন। খবর পেয়ে বোরহানের পক্ষের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ অফিসে ওঠার সিঁড়ির স্টিলের রেলিং ভেঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের মারধর করেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবকলীগের চার নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে নড়াইল পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রিয়াজ আহম্মেদ সজলকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তারিকুজ্জামান উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-সিদ্দিক আহম্মেদের স্ত্রী নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহম্মদ আলী, আ’লীগ নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম নবী, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর সিদ্দিকী, নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মলয় কুন্ডু, নড়াইল স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম পলাশ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাঈম ভুঁইয়াসহ অনেকে। অতিথিবৃন্দ চলে যাওয়ার পরে দুইপক্ষের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
এ ব্যাপারে নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা বলেন, আমি দুইপক্ষকেই নিবৃত করার চেষ্টা করেছি।
নড়াইল সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্ব) মাহমুদুর রহমান বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ নিয়ে কোনো মামলা বা কাউকে আটক করা হয়নি।