বগুড়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল সোয়া ৮টায় বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বটতলায় অস্থায়ীভাবে স্থাপিত জাতিরজনকের প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।
পরে বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়নের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক লালু, সাবেক সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর, সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম বাবু, এসএম কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান সিজু, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,পাঠাগার সম্পাদক এইচ আলিম, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ফরহাদুজ্জামান, রাজু আহম্মেদ, আলমগীর হোসেন, শাহনেওয়াজ শাওন, গোলজার হোসেন মিঠু ও খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৫ আগষ্টের নৃশংস হত্যাকান্ডের মধ্যদিয়ে খুনিচক্র দেশের অগ্রগতিকে, জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের সকল অর্জনকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। খুনিরা অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সংবিধানের ওপর কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি বিল’ চাপিয়ে খুনিচত্রের দোসর সামরিক সরকার এই ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল। যারা ইনডেমনিটি করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করেছিল কশিশন গঠন করে ওইসব খুনিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া যেসব খুনি এখন বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে যাদেরকে নিয়ে এসে রায় কার্য্যকর করার দাবি জানানো হয়।
সকালে প্রেসক্লাবে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রেসক্লাব সদস্যরা কালো ব্যাচ ধারণ করেন।
পরে ১৫ আগষ্টে শহীদদের মাগফেরাত কামানার্থে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন, মুফতি মাওঃ আমিনুল ইমলাম আজাদী।