দীর্ঘ তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ (১লা সেপ্টেম্বর) থেকে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন খুলে দেওয়া হলেও প্রথম দিনেই অনেকটাই পর্যটক শূন্য বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। সুন্দরবনের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় গত ১লা জুলাই থেকে ৩১শে আগষ্ট পর্যন্ত দীর্ঘ ৩মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে আজ ১লা সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন খুলে দেওয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। তবে সুন্দরবনে নেই চোখে পড়ার মত পর্যটক।
সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সুন্দরবনের দেখা মিলছে না পর্যটকদের। এমন অবস্থায় ট্রলার ঘাট গুলোতে অলস সময় পার করছেন ট্যুর অপারেটর, টলার শ্রমিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
তবে ট্যুর অপারেটররা বলছেন আবহাওয়া ভালো হয়ে গেলে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় গত বছরের তুলনায় এবছর পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কম হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। বর্তমানে দেশের চলমান পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে কারণে পর্যটকদের আগ্রহ থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোন ভ্রমণ পিপাসুরা অগ্রিম যোগাযোগ করছেন না। আর যারা আসছে তাদের নিয়ে বনের উদ্দেশ্যে গেলে চালান থাকবে না।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, সুন্দরবনকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রে তৈরী করা হয়েছে ঝুলন্ত ব্রীজ, তথ্য কেন্দ্র, ফুট ট্রেইলার, ওয়াচ টাওয়ার ও প্রসস্ত রাস্তাসহ নান্দনিক সব স্থাপনা। ঢেলে সাজানো হয়েছে সুন্দরবনের অন্যান্য পর্যটন স্পট গুলো। নতুন রূপে সাজানো করমজলসহ সুন্দরবনের পর্যটন স্পোর্ট গুলোতে স্থানীয় কিছু লোকজন ও পর্যটকরা ঘুরছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা প্রস্তুুত আছি।
বনবিভাগের দাবি, নতুন নতুন সব স্থাপনা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে সুন্দরবনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সেই সাথে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সুন্দরবনে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।