ঢাকা, সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ই পৌষ ১৪৩১

গাইবান্ধার দশলিয়া গ্রামে হত্যা চেষ্টা মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:৩৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব খামার দশলিয়া গ্রামের আতিকুর রহমানকে হত্যার উদ্যেশে রড় দিয়ে মাথায় আঘাত করা দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজ উদ্দিন দৈনিক বায়ান্নকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দিবাগতরাতে এই মামলার এক নম্বর আসামি আব্দুল খালেককে আটক করে থানার পুলিশ এবং আজ দুপুরে আরেক আসামি আব্দুল খালেকের ছেলে মো. আলমগীরকে র‌্যাব আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে।  

অন্য আসামিদের ধরার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

তবে আসামিদের ধারালো অস্ত্রে মাথায় আঘাত পেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় থাকা আতিকুর রহমান ভুট্টোর অভিযোগ, অন্য আসামিরা এখনো বিভিন্ন কায়দায় আমাদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। 

অন্যদিকে এই মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম দৈনিক বায়ান্নকে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে একটা মারামারি হয়েছে এটা শুনেছি, তবে ঐ সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। 

নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনায় ওদের মধ্যে মারামারি হয়েছে শুনেছি। এর আগে ভুট্টো ও আব্দুল খালেকদের এ জমির বিরোধ নিয়ে নিয়ে আমরা মিমাংসার জন্য বসেছি কিন্তু কোন পক্ষ মেনে নেয়নি। তখন আমরা বলেছিলাম ঠিক আছে আপনারা প্রয়োজনে কোর্টে মামলা করেন। কিন্তু জমির বিরোধ নিয়ে মারামারি করবেন না। তারা আমাদের কথা শুনেনি। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১ ডিসেম্বর তারিখে গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পুর্ব খামার দশলিয়া গ্রামে (৫ নং ওয়ার্ড) জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে আতিকুর রহমান ভুট্টোর উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আতর্কিত হামলা চালায় আবদুল খালকসহ ৬ জন আসামি। আবার ভুট্টোর কাছাকাছি থাকা তার বড় ভাই আমিনুল ইসলামের দিকে ধাওয়া করে কয়েকজন আসামী। আমিনুল পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচে। এ সময় মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ভুট্টোর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ভুট্টো। মুমূর্ষু অবস্থায় ভুট্টোকে উদ্ধার করে তাকে মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় তার এক ভাতিজা বাধন মিয়া। 

এ ঘটনায় গুরুতর আহত ভুট্টো চিকিৎসা নেওয়ার পরে ১০ ডিসেম্বর আঃ খালেক (৫৭) পিতা-মৃত আঃ ওহাব, আলমগীর হোসেন (৩২) পিতা-মোঃ আঃ খালেক, গোলাম রব্বানী (৫৮) পিতা-মৃত সফিউল হোসেন, রুহুল আমিন (৫৮) পিতা-মৃত আঃ হামিদ, রফিকুল ইসলাম মিঠু (৪৮) পিতা-মৃত আঃ মজিদ সরকার, সর্বসাং-পূর্ব খামার দশলিয়া, থানা-সাদুল্লাপুর, জেলা-গাইবান্ধাগণসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। 

আসামিদের বিরুদ্ধে ভুট্টো অভিযোগ তুলে আরো বলেন, এর আগে আমাদের একজন বর্গা চাষীকে পিটিয়ে জখম করে এ সব আসামীরা। 

এছাড়াও উপরোক্ত আসামীরা বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধের সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ তুলেন তিনি। এদের নামে ততোধিক মামলা চলমান। এর আগে গ্রামের হতদরিদ্র রহিমা বেগম ও তার মেয়েকে বেধরপ মারধর করে এবং বাড়িঘর ভাংচুর করে। এই মামলার চার্জশীট আদালতে গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।

বায়ান্ন/একে