ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

গাইবান্ধায় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হলো রথ উৎসব

সঞ্জয় সাহা : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২ জুলাই ২০২২ ০৪:৫৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (হিন্দু) অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার মহোৎসব শুরু হয়েছে। করোনা মহামারী কাটিয়ে দুই বছর পর উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জগন্নাথ দেবের রথের রশিতে টান দিল গাইবান্ধার  প্রায় অর্ধলক্ষাধিক ভক্তপ্রান সনাতন ধর্মাবলম্বী দাদা,দিদি ও মায়েরা।

১লা জুলাই ২২ ইং তারিখ শুক্রবার বিকেলে  রথযাত্রার শুভ সূচনা হয় গাইবান্ধা পৌরশহরের তিনগাছতলার  কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘে (ইসকন) মন্দিরে।
 

প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লাপক্ষের  তিথিতে উদযাপিত হয় এ উৎসব।

এ দিন সকালে  বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রথযাত্রা উৎসবের মূল আচার-অনুষ্ঠান।

শুক্রবার  পূজার্চনার পরে রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়।

পরে সেখান থেকে বর্ণাঢ্য সাজে তিনটি বিশাল রথে প্রভুপাদ, জগন্নাথ দেব, সুভদ্রা ও বলরামের প্রতিকৃতিসহ শোভাযাত্রা বের করা হয়। রথের রশি ধরে টেনে নিয়ে চলেন ভক্তরা। ভক্তদের বিশ্বাস রশি টানলে তাদের আর পুনর্জন্ম হবে না।  

ইসকন মন্দির থেকে বের হয়ে রথযাত্রা বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে ভিএইড রোড কালিবাড়ী মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। পুরোটা পথ নিরাপত্তার কঠোর বলয়ে মুড়ে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


আষাঢ় মাসের শুক্লা তিথিতে শুরু হওয়া উৎসবের প্রত্যাবর্তন হবে একাদশী তিথিতে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথ দেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।


৮ জুলাই উল্টোরথে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম আবার ইসকন মন্দিরে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে শেষ হবে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।