রৌমারীতে সুলতানা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণ ইছাকুড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তাঁর স্বামী আবু হানিফের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহতের বাবা ছলিম উদ্দিন। পরে আসামি হানিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ ইছাকুড়ি এলাকার ছলিম উদ্দিনের মেয়ে সুলতানা খাতুনের (২০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই এলাকার আব্দুস শহিদের ছেলে আবু হানিফের (২৪)। এরপর পারিবারিকভাবে তিন বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে শুরু হয় কলহ। এর মধ্যেই তাদের ঘরে জন্ম নেয় শুভ নামে এক ছেলে সন্তান। বয়স তার এক বছর। তারপরও থেমে থাকেনি তাদের কলহ। এর মধ্যে গত শনিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে গৃহবধূ সুলতানাকে শারীরিক নির্যাতন করেন তার স্বামী। এমন খবর পেয়ে মেয়েকে বাড়িতে আনার জন্য জামাইবাড়ি যান ছলিম উদ্দিন। এ সময় তাঁকে ফিরিয়ে দেন আবু হানিফের স্বজনরা। পরে রোববার সকালে ওই গৃহবধূকে আবারও নির্যাতন করা হয়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনরা। কিন্তু তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
রৌমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুশাহেদ খান বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পরে ওই গৃহবধূর স্বামী আবু হানিফকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।