গ্যাসের দাম বাড়ালে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব শিল্পে নানামুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আশঙ্কা করে প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ) বলছে, অনেক শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এ মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ধ্বংসের একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে অভিযোগ তুলেছে সংগঠনটি।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিপিজিএমইএর সভাকক্ষে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি সামিম আহমেদ।
আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নের আগে দেশের স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো চুক্তি বা ব্যবস্থা দেশবাসী গ্রহণ করবে না। উদ্বেগের বিষয় হলো দেশি গ্যাসের উৎপাদন ক্রমেই কমছে। অন্যদিকে নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মিত না হলে আমদানিও বাড়ানো যাবে না। আগামী দুই বছরেও নতুন টার্মিনাল চালুর তেমন সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় দেশের শিল্পখাত দ্বিমুখী সংকটে পড়বে। আমরা মনে করি প্রস্তাবিত দাম শিল্পের জন্য খুবই কঠিন হবে।
দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শিল্পায়নকে নিরুৎসাহিত করবে এমন আশঙ্কা করে সামিম আহমেদ বলেন,শিল্পে নতুন বিনিয়োগ আসবে না, কর্মসংস্থানও হবে না। বিদেশি বিনিয়োগও আসবে না। সাম্প্রতিককালে শিল্পখাত নানা সংকটের মুখে শ্রমিক অসন্তোষ ও বেতন-ভাতা বকেয়া থাকার কারণে বেশ কিছু কারখানা এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়লে শিল্পোদ্যোক্তারা আরও বিপদে পড়বেন।বলে অিবিযোগ তুলেন তিনি।
গ্যাসের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রেও শুভংকরের ফাঁকি আছে কি না- খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মতামত দিয়েছেন বিপিজিএমইএ সভাপতি। গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের আরও চিন্তাভাবনা করা উচিত বলে মনে করি। গ্যাসের দাম বাড়লে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেশি পড়বে। তখন মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া সামাল দেওয়া যাবে না কোনোভাবেই।
বিগত সরকারের আমলে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের কথা বলে গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু তারা গ্যাস-সংকটের সমাধান করতে পারেনি; অনেক এলাকায় গ্যাস-বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে শিল্প-কারখানা চলছে রেশনিং পদ্ধতিতে। অন্তর্বর্তী সরকার গ্যাস সংকটের সমাধান না করে নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
বায়ান্ন/এমএমএল/একে
