ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

ঘাটাইলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল | প্রকাশের সময় : বুধবার ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ০২:০৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী একাব্বর আলীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) লক্ষিন্দর ইউনিয়নের চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী একাব্বর আলীর বিভিন্ন নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। 

এ বিষয়ে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী একাব্বর আলী মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন অফিসার, ইউএনও অফিস, উপজেলা নির্বাচন অফিস, রির্টানিং অফিসার ও ঘাটাইল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) লক্ষিন্দর ইউনিয়নের খাজনাগাড়া এলাকার চশমা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও এক কর্মীকে মারধর করেছে নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমানের কর্মীরা। 

জানা যায়, লক্ষিন্দর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের খাজনাগাড়া, বাদশারবাইদ, আকন্দেরবাইদ, বেইলা, তালতলা, শকতারবাইদ, পাইকারচালা, বাগাড়াসহ আরও কয়েকটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী সাইদুর রহমানের কর্মী সমর্থকরা। 

এ বিষয়ে লক্ষিন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী একাব্বর আলী জানান, আমার সব নির্বাচনী অফিস ভেঙে ফেলেছে নৌকার প্রার্থী সাইদুর রহমান ও তার কর্মী সমর্থকরা। তিনি নিজে সাথে থেকে এই ভংচুরের নেতৃত্ব দেন। আমার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। যাতে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় আর আমার কর্মীদের যেন হুমকি না দেওয়া হয়। আমার অফিস যেন ঠিক ভাবে চালাতে পারি।

 এ অভিযোগের বিষয়ে লক্ষিন্দর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমান জানান, আমার কর্মী সমর্থকরা তাদের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেনি। এসব মিথ্যা কথা। ওরা নিজেরা ভেঙে আমাদের উপর দায় চাপাচ্ছেন।

ঘাটাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল হক বলেন, আমরা সার্বক্ষনিক মাঠে আছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লক্ষিন্দর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা শরিফা বেগম জানান, আমি দুদিন ধরে ট্রেনিং এ আছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।

উল্লেখ্য, লক্ষিন্দর ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৬ হাজার ৪’শ ৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৪’শ ১৭ জন ও মহিলা রয়েছে ১৩ হাজার ৩১ জন। এই ইউপিতে ২৯ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।