ঢাকা, শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০শে কার্তিক ১৪৩১

চুনারুঘাটের মহিন্দ্র পরকীয়ার বলি হয়েছিলেন

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : রবিবার ৫ জুন ২০২২ ০৮:৩৫:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

তিন বছর আগে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে নির্মমভাবে খুন হন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের মহিন্দ্র মালাকার। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুসন্ধান চালিয়ে অবশেষে খুনের রহস্য উদঘাটন এবং প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

 

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ অভিযান চালিয়ে মহিন্দ্র মালাকার খুনের দায়ে অভিযুক্ত পলাতক আসামি মধু মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতার করে। মধু মিয়া হবিগঞ্জ সদর থানার বড় বাহুলা গ্রামের মৃত রশিদ মিয়ার ছেলে।

 

র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার মেজর মাহফুজুর রহমান জানান, ২০১৮ সালের ৩ অক্টোরর হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার সাটিয়াজুরি ইউনিয়ন পরিষদের খোয়াই নদীর পূর্বপাড়ে যমুনা ঘাটে নদির পাড়ে ঢালু জায়গায় মহিন্দ্র মালাকার (২৫)-এর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এসময় মহিন্দ্রের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

 

এ ঘটনায় ওই সময় মহিন্দ্র মালাকারের পিতা মনোরঞ্জন মালাকার চুনারুঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

র‌্যাব আরও জানায়,  বিবরণে হত্যার কারণ হিসেবে জানা যায় যে, মহিন্দ্রের স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো মধু মিয়ার। এর জেরে মহিন্দ্র মালাকারের সঙে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মধু। পরবর্তিতে মহিন্দ্রের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে লাশ ফেলে মধু পালিয়ে যান।  

 

দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়েও এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হচ্ছিলো না।  অবশেষে র‍্যাব-৯ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর পর সেই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মধু মিয়াকে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বড় বহুলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৯। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানাপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।